Home সারাদেশ সাতক্ষীরায় অনিবন্ধিত ক্লিনিকের নেপথ্যে কারা?

সাতক্ষীরায় অনিবন্ধিত ক্লিনিকের নেপথ্যে কারা?

নেই চিকিৎসক ও সেবিকা, ছোট ছোট দোকান ঘরের মতো খুপড়ি ঘরেই প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র ছাড়াই চলছে এসব নামমাত্র ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সাতক্ষীরা থেকে সেলিম খান: সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলায় ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত নিবন্ধন নবায়ন হয়েছে মাত্র ৭টির। আর অনলাইনে আবেদন করে নিবন্ধনের অপেক্ষায় আছেন ১১৭টি এবং আবেদন করেনি অথবা করলেও ভিজিটের নির্দেশনা আসেনি ১২৩টি চিকিৎসা সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানের।
সরকারি ঘোষণানুযায়ী শনিবার অনিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু হবে।
সাতক্ষীরা জেলা শহরে হাতে গোনা ডজনখানে চিকিৎসা সেবাপ্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সবই অনুপযোগি। নেই চিকিৎসক ও সেবিকা, ছোট ছোট দোকান ঘরের মতো খুপড়ি ঘরেই প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র ছাড়াই চলছে এসব নামমাত্র ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসাই বেশি হয়। নেওয়া হয় কাড়ি কাড়ি টাকা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, স্যাঁত সেঁতে মেঝে, গলির মতো ছোট পথ, নেই আলো বাতাসের নূন্যতম সুযোগ। বাড়িতে গ্রাম্য দালাল আর শহরে ভ্যান দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রান্তিক পর্যায়ের নিরীহ মানুষ এসব জায়গায় সুস্থ্ হতে এসে অসুস্থ্য বা পঙ্গু হয়ে অথবা লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরছেন। ফলে তড়িঘড়ি করে নয়, সময় বেধে দিয়ে তদন্ত করে এসব অবৈধ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা।
২০১৮ সালে অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। সেই সময়ে আবেদন করেও অনেকের এখনো ভিজিটই হয়নি। চিকিৎসক সেবিকা সংকট তো আছেই। দ্রুত ভিজিট করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনায় বসেও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। সা
তক্ষীরা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে ভিজিটপূর্বক অবৈধ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে বন্ধ করা উচিৎ। নইলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
সিভিল সার্জন ডা. মো: হুসাইন শাফায়াত বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত অভিযান পরিচালিত হবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য দেওয়া হলেও মালিক সমিতি বলছেন ৩০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে সিবি হসপিটাল ও কেয়ার ক্লিনিক এবং ডিজিটাল ল্যাব এর ৩টি প্রতিষ্ঠানসহ কেয়ার ল্যাব ও শ্যামনগরের ডক্টরস ডোর এই ৭টি প্রতিষ্ঠানের চলতি বছর পর্যন্ত নিবন্ধন রয়েছে। বাকি সবই নিবন্ধন রিনিউ হয়নি ফলে তারা অবৈধ।