Home পর্যটন সাতছড়ির ছড়া দিয়ে বয়ে যায় দুধবালি

সাতছড়ির ছড়া দিয়ে বয়ে যায় দুধবালি

মাসুদ লস্কর, হবিগঞ্জ:  চার দিকে পাহাড়, দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির সবুজ সমারোহ, উঁচুনিচু টিলা, চির সবুজের বুক ছিড়ে বয়ে চলা সাতটি ছড়া (লেক) নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। যদিও পূর্বে এর নাম ছিল “রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট “। কিন্তু সাতটি ছড়া বেষ্টিত বলে একে সাতছড়ি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রঘুনন্দন পাহাড়ের বুকে প্রাকৃতিক লীলাভূমি খ্যাত এ পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত।

এখানে সাতটি ছড়া (লেক) থাকলেও সারাবছরই শুকনা থাকে, কিন্তু ছড়া দিয়ে বয়ে চলে সাদা দুধের ন্যায় বালি। যাকে দুধ বালি বলা হয়।

ইচ্ছে হলেই দুধ বালির উপর দিয়ে হেঁটে ছড়া পেরিয়ে উঠা যায় পাহাড়ের টিলায়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি। দৃষ্টিনন্দন এ উদ্যান যে কারো নজর কাড়ে সহজেই।

১৯৭৪ সনের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ২৪৩ একর জায়গা নিয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাত ছড়ি জাতীয় উদ্যান। চা বাগান, গ্রাম এবং চাষাবাদ যোগ্য ভুমি নিয়ে গঠিত এ বাগানের পশ্চিম দিকে সাতছড়ি চা বাগান, পূ্র্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান অবস্হিত।

বাগানের মধ্যে টিপরাপাড়া নামে একটি পাড়া আছে যেখানে ছোট বড় প্রায় ২৪টি উপজাতির বাস।

চা শ্রমিক ও বনভূমিতে বাস করা মানুষ সাধারণত বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল।

এখানে দাঁড়িয়ে আছে আকাশচুম্বি টাওয়ার। যেখান থেকে উপভোগ করা যায় পাহাড়ি সৌন্দর্য। ১৪৫ প্রজাতির গাছপালা ও ১৯৭ প্রজাতির জীবের অভয়ারণ্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। উল্লুকের এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফালাফি, বানরের ছোটাছুটি, মায়া হরিণের লুকোচুরি  পর্যটকদের মন ভুলিয়ে দেয়।

লোকেশনঃ ঢাকা সিলেট মহাসড়কে জগদীশ পুর বাসস্ট্যান্ড নেমে সিএনজি নিয়ে, অথবা ট্রেনে শায়েস্তা গঞ্জ নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন নেমে সিএনজি নিয়ে সহজেই যাওয়া যাবে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।

থাকা খাওয়াঃ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আবাসিক হোটেল নেই। পার্শ্ববর্তী নোয়াপাড়া, মাধবপুর,অথবা শায়েস্তাগঞ্জে সুলভমূল্যে আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা আছে।