বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মনের টান বয়সের ধার ধারে না। সাতাত্তর বছরের প্রৌঢ়ের প্রেমে পড়তে বাধেনি বছর কুড়ির তরুণীর। তাঁদের এই প্রেম কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এখন ছড়িয়ে পড়েছে লোকের মুখে মুখে।
মায়ানমারের বাসিন্দা জো সবেমাত্র যৌবনে পা দিয়েছেন। আর তিনি যাঁর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তাঁর বয়সটা নেহাত কম নয়। সাতাত্তর বছরের ডেভিড থাকেন ইংল্যান্ডে। একটি ডেটিং সাইটের মাধ্যমেই জো-এর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। দিন যত এগিয়েছে, ততই রসালো হয়েছে অসম বয়সি এই যুগলের সম্পর্ক। কারণ মনের বয়স দুজনেরই প্রায় সমান।
ডেভিড আর জো দুজন দুজনের জন্য একেবারে যাকে বলে মেড ফর ইচ আদার। কেন? কারণ দুজনই একে অপরের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন নিজেদের চাহিদা পূরণের পথ। পেশায় সঙ্গীতশিল্পী জো-এর সন্ধানে ছিল এমন এক পুরুষ যে তাঁকে দিতে পারবে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। সেই সঙ্গে যে মনের হদিশও রাখতে পারবে। চোখ বুজেই যাকে ভরসা করা যাবে। সাতাত্তর বছরের ডেভিডের মধ্যে ঠিক সেই সমস্ত গুণই খুঁজে পেয়েছেন জো।
আর ডেভিড? তিনি বিবাহিত। সংসার থাকলেও সন্তান নেই তাঁর। ডেটিং সাইটগুলোতে অবাধে ঘুরে বেড়ান তিনি। কমবয়সি মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করেই দিন কাটছিল। এমন সময় আলাপ হয় জো-এর সঙ্গে। সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। গত দেড় বছর ধরে কুড়ি বছরের এই তরুণীর সঙ্গে প্রেম করছেন ডেভিড। নতুন করে সংসার পাতার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন।
তবে ইংল্যান্ড আর মায়ানমার, মনের দূরত্ব না থাকলেও বাধ সেধেছে পথের দূরত্ব। এই দেড় বছরে ডেভিড-জো একবারের জন্যেও দেখা করতে পারেননি সামনাসামনি। অবশ্য তাতে কিছুই যায় আসেনি। বরং দূরত্ব সম্পর্কের রসায়নে এনেছে আরও মাধুর্য্য। জো কথা দিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, অতিমহামারীর ক্ষত সেরে গেলেই তিনি চলে যাবেন ইংল্যান্ডে। সংসার পাতবেন ডেভিডের সঙ্গে। দূর আর দূর থাকবে না। ডেভিড-জো ধরা দেবেন প্রেমের আলিঙ্গনে।