দিল্লি: এবার মন্দিরের আশ্রমেও ধর্ষণ। ‘ধর্ষণ সংস্কৃতি’র চূড়ান্ত রূপ দেখাল লখনউয়ের জানকী মন্দিরের আশ্রম। মন্দিরের এক সাধ্বীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ৪ সাধকের বিরুদ্ধে। গোমতীনগরের ওই আশ্রমে ৪ অক্টোবর খাবারের সঙ্গে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে সাধ্বীকে খাইয়েছিলেন দুর্বাসা নামের এক সাধক। ওই খাবার খেয়ে জ্ঞান হারান সাধ্বী। জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে বিবস্ত্র দেখে ঘাবরে যান তিনি।
তখনও সেখানে উপস্থিত ছিল অভিযুক্ত সাধক দুর্বাসা, ছোট মৌনি, বড় মৌনি ও মনমোহন দাস। তিনি সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি শুরু করলে তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর আশ্রম প্রধানের (মহন্ত) কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টে অপরাধীদের পক্ষ নেন মহন্ত। আশ্রম প্রধান বলেন, এখানে থাকতে হলে এসব সহ্য করতে হবে। এরপর গোমতনগর থানায় গিয়ে চার সাধকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন নির্যাতিতা সাধ্বী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।
ওই এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। তদন্ত শেষ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি আগে মথুরার একটি আশ্রমে থাকতেন। গত বছর প্রয়াগরাজের মাঘ মেলায় গিয়ে তাঁর পরিচয় হয় জানকী মন্দিরের এক সাধ্বীর সঙ্গে। তিনিই তাঁকে এই আশ্রমে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ওই সাধ্বীর ভাই অসুস্থ হলে তিনি বারাণসী চলে যান। তারপরই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়।