জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা::সোমবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে আনা যুবকটি সাপের কামড়ে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল এন্টিভেনমেও কাজ হচ্ছিলো না। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা প্রয়োগ করলেন ভারিসপ্লাবিব ট্যাবলেট। মন্ত্রের মত কাজ হল। প্রাণে বাঁচলো যুবকটি। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম প্রয়োগ করল এই ট্যাবলেট। এক যুগান্তকারী আবিষ্কার এর শরিক হল তারা।
প্রতি বছর এই বাংলায় তিন হাজারের বেশি এবং বাংলাদেশে ছয় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। কেউটে, কালাচ, গোখরো এবং চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে দুই বাংলায় মারা যায় সর্বাধিক। দীর্ঘদিন গবেষণার পর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে সাপের কামড়ের চিকিৎসায় এক ইতিহাস সৃষ্টি করবে। সমস্যা একটাই, যে কোন সাপের কামড়ে একশো মিনিটের মধ্যে এন্টিভেনম না পড়লে সেই রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা কম। একশো মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে এনে এন্টিভেনম দেয়ার পর ট্যাবলেট
এই সময়টা পাওয়া যাবে তো? ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সর্প দংশন প্রবণ অঞ্চলগুলিতে বিভিন্ন হেলথ সেন্টারে এই ওষুধ মজুত রাখলেই সমস্যার সমাধান হবে। কি ভাবে কাজ করে এই ট্যাবলেট? এই ট্যাবলেটে আছে মেটাজিনসিন গ্রুপের মেটানোপ্রঠিনেজ ইনহেবিটব। সাপের বিষে থাকা মেটানোপ্রোটি নেজ এনজাইমসকে যা নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ বিষে বিষক্ষয় হয়। এই ট্যাবলেট প্রথম প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়ায় খুশি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের গবেষক চিকিৎসকরা।
( সৌজন্যে:দৈনিক মানবজমিন )