বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের নীচতলায় ২ বছর আগে ৫টি সাপ নিয়ে ভেনম রিসার্চ সেন্টার যাত্রা শুরু করা হয়। এখন রিসার্চ সেন্টারে ৯ প্রজাতির ১৬৯টি সাপ আছে। গোখরো সাপের ভেনম সহজে সংগ্রহ করা গেলেও কেওটে সাপের ভেনম সংগ্রহ দীর্ঘ সময় লাগছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাপগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। সাপের সন্ধান পেলে রিসার্চ সেন্টার থেকে লোকজন সেখানে যাচ্ছেন। সাপ সংগ্রহের পর গবেষণাগারে নেওয়ার আগে সাপটিকে দু’মাস কোয়ারেন্টিন কক্ষে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়।
সাপের বিষের প্রতিষেধক আগে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতো বাংলাদেশ। দেশে কিভাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরি করা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে অসংক্রমক রোগ নিয়ন্ত্রণের আওতায় ‘এন্টিভেনম’ তৈরির জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এটি দেশের প্রথম ভেনম রিসার্চ সেন্টার।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্যারাফিনের লেয়ার দিয়ে সাপের কামড়ের অনুভূতি তৈরির মাধ্যমে আমরা বিষ বা ভেনম সংগ্রহ করছি। এছাড়া বিষদাঁতের সাথে লাগিয়ে গ্লাস ক্যাপিলারি পদ্ধতিতে বিষ সংগ্রহ করা হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব ভেনম সংগ্রহ করে রাখা হবে। কম তাপমাত্রায় ভেনম ক্রিস্টাল আকার ধারণ করলে সংরক্ষণ করে নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অ্যান্টিভেনম তৈরি হবে।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরিতে সেন্টারটি চালু করায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাপ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। সাপগুলোর খাদ্য হিসেবে মাছ, ইঁদুর ও মুরগীর খাওয়ানো হচ্ছে।
-আরটিভি