বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, যশোর: রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মীর মা-ও আত্মহত্যা করেছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ তথ্য জানান শাম্মীর গ্রামের বাড়ি চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের লোকজন। শাম্মীর মৃত্যু সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, শাম্মীর বয়স যখন ৭ তখন তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। সে সময়ে তার আরেক বোন ছিল ৪ বছর বয়সের। শাম্মীর মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেখানে স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেন। শাম্মীর পিতা জাহিদুর রহমান কেশবপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা।
শাম্মীরা দুবোনই বেশ মেধাবী। এলাকার নামকরা স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেছেন তারা। জানুয়ারির প্রথমদিকে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন শাম্মী। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
বাবা জাহিদুর রহমান বলেন, শা্ম্মী কয়েক মাস আগে ছোট বোনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ফার্মগেট এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে। কাছে একটি মেসে থাকতো তার ছোট বোন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার পর দুবোন দিনভর বেড়ায়। সন্ধ্যায় দুজনে যার যার মেসে ফিরে যায়। বাবার সাথে দুমেয়ের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মত। তবে, কোন ছেলের সাথে শাম্মীর প্রেম ছিল কী না সে প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সাবরিনা রহমান শাম্মী। থাকতেন পুরান ঢাকার এক ছাত্রী মেসে। একা এক রুমে থাকতেন তিনি। রবিবার ভোররাতে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, প্রেমঘটিত কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। কারণ, পুলিশ জানিয়েছে, ফাঁস দেওয়ার সময় প্রেমিককে কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন এই শিক্ষার্থী। পুলিশ ইতিমধ্যে মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।’