- আমি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নই
- দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার সুযোগ দিন
নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: অধ্যাপিকা বিবি মরিয়ম। স্বাধীনতা নারীশক্তির পরিচালক। সাংসদ এম আবদুল লতিফের ঘনিষ্ঠজন। ২০১৮ সালে গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচনে ৪ পুরুষ প্রার্থীর বিপরীতে ভোট করে ১০ ভোটে হেরে যান। তিনি পেয়েছিলেন ২০৫৮ ভোট। আর বিজয়ী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছিলেন ২০৬৮ ভোট। স্বাধীনতা নারী শক্তির কর্ণধার হিসেবে বিবির পরিচিতি প্রচুর। এবারে তিনি নির্বাচন করছেন সিটি কর্পোরেশনের (২৮,২৯ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত মহিলা আসনে। মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের।
সোমবার সাংসদ লতিফের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বললেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইলেও এখন আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী। রাজনৈতিক অপশক্তি কারণে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভ তো একটু আছেই। কিন্তু আমি দলের মতকে শ্রদ্ধা জানাই। আমরা কেউ দলের বাইরে নই।’
স্বাধীনতা নারী শক্তি সংগঠনের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী
আরও জানালেন, ‘আমি “স্বাধীনতা নারী শক্তি” সংগঠনের প্লাটফর্ম থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছি। আমি বিদ্রোহী প্রার্থী নই।’ কয়েক দিন আগে প্রকাশিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে আমাকে আমার নিজের প্লাটফম থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর তালিকায় দেখানো হয়েছে।
বিবি মরিয়ম বলেন , দীর্ঘ ৪ বছর ‘স্বাধীনতা নারী শক্তি’র পরিচালক হিসেবে গরীব ও অসহায় পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। এই সংগঠনের মাধ্যমে এ ধরনের পরিবারে সন্তানদের স্কুলে ভর্তি, বিনামূল্যে কোচিং করানো, চিকিৎসা সহায়তা, বিনামূল্যে আইটি, সেলাই প্রশিক্ষণ, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার মেয়েদের আইনি সহায়তা করে থাকি। আমি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদটি কার্যকর পদ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম। আমি এই তিনটি ওয়ার্ডের গরীব অসহায় পরিবারের নারীদেরকে শিক্ষিত করবো যাতে করে ঐ শিক্ষিত নারীর হাত দিয়ে যেনো ঐ পরিবারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩ ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় আমার বিচরণ
আরও বললেন, আমি সাধারণ মানুষদের জন্য কাজ করি। আমাদের সংগঠন বিগত ২০১৭ থেকে বন্দর -পতেঙ্গা এলাকার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত বছরগুলোতে আমি তিনটি নির্বাচনী ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় আমার বিচরণ ছিলো। এলাকার গরীব পরিবারগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার একটা ভরসা আমি ওই মানুষগুলার ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। তারা আমাকে নির্বাচিত করবে। আমাদের সংগঠন একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন – ২০৪১ এর যে এজেন্ডা নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কাজ করি। সংগঠন চায় এই আসনগুলোর সামাজিক উন্নয়নের কাজ একজন যোগ্য মানুষের হাতে থাকুক। তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
ফেরদৌস জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ
আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে জিন্নাত আরাকে আমি চিনি না। তার সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস আকবরকে আমরা নির্বাচিত করেছিলাম। কিন্তু উনি বিগত বছরগুলোতে জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামরুন নাহার লিজা ও লিপা আক্তারকে যদি জনগণ যোগ্য মনে করে তাহলে তারা নির্বাচিত হবে। জনগণ আমাকে যোগ্য মনে করলে আমাকে নির্বাচিত করবে।