বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ছাতক: মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের মাধ্যমে পরিচিত সাম্মাম ও রকমেলন চাষে সফলতা পেয়েছেন ছাতকের তিন উদ্যোক্তা। মরুপ্রধান দেশে ফল দুটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আমাদের দেশের বাঙ্গির মতো দেখতে সাম্মাম সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটির গায়ে হলুদ মসৃণ খোসা। আর অন্যটির খোসা খসখসে। হলুদ রঙের এ ফলটি দেশে নতুন। খেতে ভীষণ মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় অনেকেই এ ফল কিনছেন শখের বশে।
উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন ও চাঁনপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন ও রাজাপুর গ্রামের এনাম সাত বিঘা জমিতে ২০ ফেব্রুয়ারি চাষ শুরু করেন।
রিয়াজ আহমদ বলেন, ‘সাম্মাম ফলের রোগবালাই তেমন নেই। গাছে খুব সামান্য সার ও কীটনাশক দিতে হয়। আর এ ফল গাছের সঠিক চাষাবাদ এবং নিয়মিত ফুলের পরাগায়ন হলে একেকটি গাছ থেকে বেশ কয়েকটি ফল উৎপাদন করা সম্ভব। তবে ফলের ওজনে লতা ছিঁড়ে পড়ার ভয়ে একটু বড় হওয়ার পরপরই ফলগুলো ব্যাগিং করতে হয়’।
বুরহান উদ্দিন বলেন, সাম্মাম চাষাবাদে বিঘাপ্রতি তাঁদের খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এ ফলের বর্তমান পাইকারি বাজার দর কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। একেকটি ফল এক কেজি থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়েছে। চার প্রজাতির মধ্যে একটির রং পুরো হলুদ, দুটির রং সবুজ, ত্বক জালিকার মতো। অন্যগুলো সাদা ও সবুজের মিশেল। সবগুলোই সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খাঁন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে সাম্মান ও রকমেলন চাষ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। এটি একটি খুবই সুস্বাদু ফল। ক্যালসিয়াম, লৌহ, ভিটামিনযুক্ত এ ফলে শতকরা ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ থাকায় মানবদেহের পুষ্টি চাাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।