Home চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ভারতের লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স

সিটি কর্পোরেশনকে ভারতের লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স

চাবি হস্তান্তর

 

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: ভারত সরকারের দেয়া অত্যাধুনিক লাইফ সাপোর্ট এম্বুলেন্স উপহার পেল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। রবিবার চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী  সিটি মেয়রের কাছে এম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন।

এই এ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ সুবিধা সহ ট্রমা রোগিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে

টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবন চত্ত্বরে চাবি হস্তান্তর করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতবছর মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশকে ১১৯টি বিশেষায়িত অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্স উপহার দিবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় চসিক এই এ্যাম্বুলেন্স উপহার পেলো।

বছরের শুরুতে বন্ধুরাষ্ট্রের উপহার সৌভাগ্যের ব্যাপার

চাবি গ্রহণ কালে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বছরের শুরুতে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া নি:সন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। বক্তব্য রাখেন সচিব খালেদ মাহমুদ ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এতে কর্পোরেশনের সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। প্রতিবেশী হিসেবে একটি রাষ্ট্রের যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন অতীতেও ভারত তা রেখেছে। যার প্রমাণ আমরা ৭১-এ পেয়েছি। সাম্প্রতিক করোনাকালেও তাঁরা টিকা উপহারসহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আমাদের পাশে আছেন। যার মধ্যে পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট ইত্যাদি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন তা ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের মধ্যে আগামীতেও বিরাজ করবে। মেয়র নতুন বছরের শুরুতে ভারত সরকারের উপহারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সহকারি হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

চট্টগ্রামের মানুষ অতিথিপরায়ণ: অনিন্দ্য
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, আমার কূটনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামে আমি দীর্ঘ চারবছর সময় অতিবাহিত করলাম। এরপূর্বে ঢাকায়ও কাজ করেছি। সব মিলে প্রায় ১০বছরের মত বাংলাদেশে আমার কর্মজীবন কাটলো। এই সময়টুকু আমার বেশ আনন্দে কেটেছে। তবে এরমধ্যে চট্টগ্রামে আমার বেশ ভালো সময় অতিবাহিত হয়েছে। কারণ এখানকার অধিবাসীরা অতিথিপরায়ন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাশে থাকা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভারত সরকার আনন্দিত। আমরা যে এ্যাম্বুলেন্সটি উপহার দিলাম তাতে নতুন অত্যাধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি রয়েছে। এটি রোগিদের মানসম্মত জরুরিসেবা ও ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানে প্যারামেডিক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য করবে।