তাপস প্রান্ত
চট্টগ্রাম: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আড্ডায় মেতেছেন কিছু তরুণ ও নতুন ভোটার। নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদের কাছে কি প্রত্যাশা এসব নিয়ে ভাবছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নানা ভাবনা এবং হতাশার কথা ওঠে আসে আড্ডায়।
সিটি নির্বাচন নিয়ে নানা ভাবনার কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে ।
তরুণ ভোটারেরা চায় সুষ্ঠু নির্বাচন আর ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে। রাতের আঁধারের ভোট চুরি বন্ধ করে নির্বাচনের যে আমেজ ছিল, সেটা ফিরিয়ে আনতে।
তারা ভবিষ্যৎ জনপ্রতিনিধির কাছে, দাবি-দাওয়ার কথা জানান। এদের অনেকে প্রথম নির্বাচনে ভোট দেবেন। তারা জানালেন, বিষয়ভিত্তিক কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এসব কাজে মেয়রের সহায়তা করতে হবে। বেহাল রাস্তার দ্রুত উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন। খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস বন্ধ এবং শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ব্যয় বাড়ানোর দাবি জানান।
৪নম্বর ওয়ার্ড চাদগাঁও এর নবীন ভোটার আরিফ বলেন, আসলে নতুন ভোটার হিসেবে অনেক আগ্রহ আছে ভোট দেওয়ার। যদিও আমাদের এলাকায় মেয়র প্রার্থীরা প্রচারণা চালালেও দেখা নেই কাউন্সিলর প্রার্থীদের। নির্বাচনী কোন আমেজ নেই আমাদের এলাকায়। দাদা দাদীদের কাছে শোনা, নির্বাচনী আমেজের কাহিনীগুলো ঠাকুর মার ঝুড়ি’র কল্প কাহিনী মনে হয়।
২১নম্বর ওয়ার্ড জামালখানের ভোটার আল আমিন বলেন, আমার ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নেই। যেতেও পারি, নাও যেতে পারি। তবে যাওয়ার একটা কারণ আছে- ইভিএমে ভোটটা দেব, আগে কখনও দিইনি। নিজের আগ্রহ না থাকলেও বাবা-মার কাছ থেকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ পাওয়ার কথা জানান তিনি।
এবার প্রথম ভোট দেবেন বলে ঈমন খুব আনন্দিত ৷ তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খুবই হতাশ। তিনি বলেন, ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর দলের অতীত কার্যক্রমকে বিচার-বিবেচনা করব,আরকান রোডের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ওয়ার্ডের শিক্ষা, পরিবেশের উন্নয়নে যারা কাজ করবে, নির্বাচনী ইশতাহারে যাদের এসব বিষয়ের প্রতি জোর থাকবে, সে প্রার্থীকেই ভোট দেবো৷’’
মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তবে নির্বাচন আমার কাছে একটি যুদ্ধের মত বললেন আনোয়ার। অপশক্তিকে দূর করে এক যোগ্য অভিভাবক নির্ণয়ের যুদ্ধ। আর আমরা সবাই এই যুদ্ধের যোদ্ধা। জীবনের প্রথম ভোটটা তাই এমন কাউকে দিতে চাই, যিনি শক্তহাতে বৈঠা ধরে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবেন। শুধু প্রতিশ্রুতি প্রদান নয়; বাস্তবায়ন করে দেখাবেন।
পাঠাটুলি ওয়ার্ডের ভোটার সাফায়েত মেহেদী বলেন, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের উচিত, নাগরিকরা যাতে ভোট প্রদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে রাজনীতির ফাঁদে পড়ে কারো রাজনৈতিক অধিকার হরণ না হয়। আর আমার মতে সকল নাগরিকের উচিত ব্যক্তি বা প্রতীক বিবেচনা না করে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রদান করা, যাতে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হয়।
দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের ভোটার ইয়াসির রহমান বলেন, বাকলিয়া ওয়ার্ডে তেমন উন্নয়ন হয়নি। জলাবদ্ধতা ও যত্রতত্র ময়লা এই ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা। প্রতিবার নির্বাচন আসলে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ,সমস্যা নিরাসনের করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন সমাধান এ পর্যন্ত হয়নি। ভোট কেন্দ্রের যাওয়ার মত সুন্দর পরিস্থিতি থাকলে অবশ্যই ভোট দিব।