বিজিনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ (বুধবার) শুরু হয়েছে। এইবারে প্রথম সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। বিকেল ৪ টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা চেয়েছে ইসি। একইসঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগেরও অনুরোধ করেছে চসিক নির্বাচনের প্রধান কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন হচ্ছে দলীয় মনোনয়নে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে, মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে।

মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, বাংলাদেশে ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী।
নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ ৪ হাজার ৮৮৬টি। প্রতি ভোটকক্ষে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলাইমান সেলিমের মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে মো হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই ২ ওয়ার্ডে শুধু মাত্র মেয়র পদে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার । এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। কেন্দ্রভিত্তিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবমিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে ২৫ হাজার সদস্য।
নির্বাচনে ৪১০টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাহারায় ৬ জন অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসার সহ মোট ১৮ জন দায়িত্ব পালন করছেন। আর সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসার সহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েন আছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের বাইরে ২৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৪১টি টিম এবং পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়নের ৪১টি মোবাইল ও ১৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছেন। এছাড়া ২০ জন জুডিশিয়াল ও ৪১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে রয়েছেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ৫ আগস্ট চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও ৪১ জন সাধারণ ওয়ার্ড এবং ১৪ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়। প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দেয় সরকার।