‘যে আয়কর নেয়া হবে সেটা কোনভাবেই চূড়ান্ত দায় হওয়া উচিত না’
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিমেন্ট খাতে যে কর সুবিধা দেয়া হয়েছে তার প্রভাব খুবই সামান্য বিধায় এই শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত অসমন্বয়যোগ্য অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চেয়েছেন সিমেন্ট শিল্প মালিকরা। পাশাপাশি সিমেন্টের সরবরাহ পর্যায়ে আরোপিত উৎসে করও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চেয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
শনিবার (৫ জুন) সিমেন্ট শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) পক্ষ থেকে অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সিমেন্ট শিল্পের কথা চিন্তা করে যদিও বাজেট প্রস্তাবনায় সিমেন্ট উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করহার ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এটি বরাবরের মতোই অসমন্বয়যোগ্য বা চূড়ান্ত করদায় হিসেবেই রাখা হয়েছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিল্প মালিকরা চান সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। একান্তই যদি না হয়, তাহলে নিদেনপক্ষে যাতে এটি সমন্বয়যোগ্য করা হয়। পাশাপাশি সিমেন্ট সরবরাহে উৎসে কর কর্তনের হারও যেটা ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে সেটিও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চেয়েছে বিসিএমএ।
এ ব্যাপারে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মো. আলমগীর বলেন, ‘কোন একটা খাতের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত অহেতুক চাপিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ আমরা আগে থেকেই কেউ বলতে পারি না কোন খাত কত মুনাফা করবে। এটা দেশের অর্থনীতি, বাজার ব্যবস্থা, চাহিদা এবং সর্বোপরি উৎপাদনকারীদের প্রতিযোগিতার মধ্যে নির্ভর করে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং তালিকা বহির্ভূত কোম্পানি যেটাই হোক না কেন, সরকার নির্ধারিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিরীক্ষা (অডিট) হওয়ার পর আর্থিক প্রতিবেদন বা লাভ-লোকসান নির্ধারিত হয়। সেখানে কোন ব্যতিক্রম করার সুযোগ থাকে না। তারপরেও সরকার যদি মনে করে অগ্রিম আয়কর দেয়া উচিত তাতে আমাদের কোন আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু যে আয়কর নেয়া হবে সেটা কোনভাবেই চূড়ান্ত দায় হওয়া উচিত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো যে আমদানিস্থলে অগ্রিম আয়কর ও সরবরাহের বিপরীতে ন্যূনতম আয়কর ধারা ৮২-সি এর উপধারা-২ এর ধারা (ন)এ উল্লিখিত ৫২ এবং এর উপধারা (রর) সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করণ। আমরা দেশের সমুদয় চাহিদা মিটিয়ে সিমেন্ট রপ্তানি করছি, কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতের রপ্তানি প্রণোদনা বা রপ্তানি প্রত্যার্পন (ডিউটি ড্রব্যাক) সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আমরা পাইনি।’