সিলেট:করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মার্কেট বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬শ’।
ঢাকা, চট্টগ্রামের পর করোনা ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে সিলেট। মৃত্যুর মিছিলও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৭ জন। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। যে যার মতোই চলছেন সিলেটে । লাগাম টেনে ধরছেন না কেউ। এই অবস্থায় স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ায় নিজেও আইসোলেশনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এরপরও মঙ্গলবার নেমে এলেন রাস্তায়। নিজেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোকানপাট বন্ধ করাতে শুরু করলেন। ঘোষণা দিয়েছেন আগামী এক সপ্তাহ সিলেটের হাসান ও হকার মার্কেট বন্ধ থাকবে। যদি এই নির্দেশ কেউ অমান্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার এই নির্দেশনার পর সিলেটের বন্দরবাজারের পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টে গেছে। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল থাকলেও হাসান ও হকার মার্কেট সহ কয়েকটি মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। সকাল ১০টায় নগরীর সিটি পয়েন্ট এলাকায় রাস্তায় নামেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তখন সেখানে লোকে লোকারণ্য। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই ছিল না। সেখানে তিনি ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে ফুটপাথে যারা ব্যবসা করছিলেন অভিযান চালিয়ে তাদের ওই এলাকা থেকে বিদায় করে দেন। ঘুরেন হাসান মার্কেটের দোকানগুলো। সেখানে তিনি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। আরিফের এই অনুরোধ বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মানলেও কেউ কেউ মানছিলেন না। এ সময় মেয়র বলেন- ‘করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে সিলেট। রোগী বেড়েই চলেছে। মারা যাচ্ছে মানুষ। হাসপাতালেও জায়গা নেই। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই।’ এ কারণে তিনি আগামী ৭ দিন মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ব্যবসায়ীদের। পরে মেয়র সিলেটের হকার মার্কেটে গিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রতিটি দোকান বন্ধ করে দেন। তাদেরকেও আগামী এক সপ্তাহ দোকান না খোলার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া করিম উল্লাহ মার্কেট সহ বন্দরবাজার এলাকার কয়েকটি মার্কেটে মেয়র নিজে গিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। মেয়রের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও।