বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
সুগার রোগটি এখন ঘরে ঘরে। প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে এই অসুখে ভোগা রোগী। এবার এই অসুখ ভুগতে শুরু করলে শরীরে দেখা যেতে পারে সমস্যা। কারণ এই অসুখটি মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে এই অসুখটি নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
এবার সুগার থেকে মানুষকে বাঁচত হলে এই রোগটি নিয়ে বিশেষভাবে হতে হবে সতর্ক। এক্ষেত্রে এমন কোনও কাজ করা যাবে না যাতে দেখা দেয় সমস্যা। এই রোগের চিকিৎসার অন্যতম হাতিয়ার হল রোগটিকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বেধে রাখা। এবার সুগারকে একটি গণ্ডিতে বেধে রাখতে আপনাকে করতে হবে টেস্ট। সেই পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
সাধারণত সুগার টেস্ট নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে করা যায়। তবে এখন সুগার টেস্টের হোম কিটও পাওয়া যায়। সেই কিট দিয়েও বহু মানুষ এই টেস্ট করে চলেন। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, যথাযথ নিয়ম না মানলে ফলাফল অনেক সময়ই ভুল আসে। এত চিকিৎসাও ভুল হয়। জেনে রাখুন বাড়িতে সুগার টেস্ট করার ক্ষেত্রে জরুরি কিছু বিষয়
উন্নত যন্ত্র : সুগার পরীক্ষার জন্য একটি ভালো সংস্থার যন্ত্র কিনতে হবে। না হলে রিডিং ভুল আসতে পারে। সব থেকে ভালো হয় চিকিৎসকের মতামত নিয়ে কিনতে পারলে। যখন কোনো টেস্টিং কিনতে যাবেন, প্রযুক্তিগত বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।
অতিরিক্ত কিট : বাড়িতে অবশ্যই দুটি টেস্টিং কিট রাখবেন। কারণ অনেক সময়ই আপৎকালীন সময়ে হাতের কাছের টেস্টিং কিট কাজ না করতেও পারে। টেস্টিং স্ট্রিপ কেনার সময় নিজের ডিভাইসের সঙ্গে কাজ করতে পারে এমন স্ট্রিপই কিনতে হবে।
পর্যাপ্ত রক্ত : অনেকের রক্ত নিয়ে ভীতির কারণে টেস্টিং স্ট্রিপে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত দেন না। এতে পরীক্ষার ফল ঠিক আসে না। এটি করা যাবে না।
পরিচ্ছন্নতা : সুগার টেস্ট করার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। হাত ধুয়ে নিলে হাতে থাকা ময়লা আপনার টেস্টের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
আঙুলের পাশে ফোটান ফিঙ্গার ট্রিপ : আঙুলের ডগায় ফিঙ্গার ট্রিপ ফোটালে ব্যথা বেশি হয়। ব্যথা কিছুটা কমাতে আঙুলের পাশের দিকে ফোটাতে পারেন ফিঙ্গার ট্রিপ।