বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের উত্তরকাশীর সিলকিয়ারাতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথম ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে এল মঙ্গলবার। এত দেখা গেছে প্রত্যেক শ্রমিকই সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন এবং তাঁরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রত্যেকের মাথায় হলুদ রঙের হেলমেটও রয়েছে।
মঙ্গলবারই ৬ ইঞ্চি পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে এন্ডোস্কপি ক্যামেরা ঢোকানো হয়। তারপর প্রকাশ্যে এল ছবি এবং ভিডিও। প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথমবার গরম খাবার সোমবারই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পাইপলাইনের মাধ্যমে তাঁদের কাছে শুকনো ফল, খাবার পানি ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সুড়ঙ্গের ভিতরে শ্রমিকরা কেমন রয়েছেন, সেই অবস্থা বোঝার জন্য পাইপ লাইনের ভিতর দিয়ে ক্যামেরা ঢোকানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হয় ক্যামেরা এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে তা সুড়ঙ্গে প্রবেশ করানো হয়।
সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থা জানার জন্য ভিতরের ড্রোন পাঠানোরও চেষ্টা করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। তবে সে চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি ড্রোন। একটি ড্রোন খারাপই হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার সফল হল এন্ডোস্কপি ক্যামেরার কাজ। ধরা পড়ল আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে শ্রমিকরা হাতও নাড়েন। ওয়াকি টকিতে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন উদ্ধারকারী দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। প্রত্যেকেই জানান, কঠিন পরিস্থিতি রয়েছে, কিন্তু তবুও তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী এক ট্যুইটবার্তায় লিখছেন, ‘‘এই প্রথমবারের জন্য, উত্তরকাশীর সিলকিয়ারাতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি সামনে এসেছে। সমস্ত শ্রমিকরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছেন। তাঁদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ অবস্থায় বাইরে বের করে আনার জন্য আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছি।’’
চলছে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ। উপর থেকে ড্রিল করে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করার কাজ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার । মোট ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার তিনজন শ্রমিক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে কোচবিহারে তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার, হুগলির পুড়শুড়ার জয়দেব প্রামাণিক এবং হরিণাখালির সৌভিক পাখিরা।