বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: আলাদা হল অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও পৃথা চক্রবর্তীর পথ। বহুদিন ধরেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। শনিবার সেই খবরে সিলমোহর দিলেন পৃথা নিজেই।
সমাজমাধ্যমে লিখলেন, “আমি ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছি। তবে সারাজীবন আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকব।”
ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ দু’জনের। এরপর নৃত্যশিল্পীর পৃথার শো দেখতে পৌঁছে যান অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর শুরু বন্ধুত্ব আর প্রেমের পর্ব। দুজনের বয়সের ফারাক ২৫ বছর। তবুও প্রেম কি আর বয়সের বাধা মানে? ডিভোর্সি সুদীপকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পৃথা।
অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসুর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর ভালবেসে পৃথাকে বিয়ে করেছিলেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়। সুদীপের এটা দ্বিতীয় বিয়ে হলেও পৃথার এটাই ছিল প্রথম বিয়ে। স্বভাবতই এই বিয়েতে শুরুতে মত ছিল না পৃথার পরিবারের।
পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই সুদীপকে বিয়ে করেন পৃথা। বেশ সুখী দাম্পত্যের ছবিই সমাজমাধ্যমে ভাগ করতে দেখা যেত তাঁদের। জুটির দুই পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে ভাঙল জুটির সংসার তা যদিও খোলাসা করেননি দু’জনের কেউই। তবে পৃথার এই পোস্ট দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বিশ্বাস করতে পারেননি তাঁদের এই কঠিন সিদ্ধান্ত।
তার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে দম্পতিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়। রবিবার নাটকের মহড়ার মাঝে সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে সুদীপ জানান, তাঁর স্ত্রী রসিকতা করে পোস্টটি করেছিলেন। ভিডিয়োয় অভিনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘পৃথা গতকাল রসিকতা করে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একটি পোস্ট করে।’’ এরই সঙ্গে স্ত্রী কেন এ রকম একটি পোস্ট করেছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুদীপ। অভিনেতার যুক্তি, ‘‘আসলে চারদিকে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। ওর মনে হয়েছিল, যদি এ রকম কোনও খবর আমাদের নিয়ে হয়, তা হলে কী হবে! বিষয়টা ও খুব একটা ভেবে দেখেনি। বুঝতে পারেনি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।’’
সুদীপ জানান, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ভিডিওতে সুদীপ বলেন, ‘‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা এখনও একসঙ্গেই রয়েছি।’’ এরই সঙ্গে অনুরাগীদের কোনও রকমে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন সুদীপ। তাঁদের ইতিবাচক থাকতে বলেছেন তিনি।
সুদীপের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নতুন কোনও মন্তব্য করেননি স্ত্রী পৃথা। তবে রবিবার বিকেলে সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন পৃথা। সেখানে তিনি হিন্দিতে যা লিখেছেন তার অর্থ হল, “যা দেখা যায়, সেটা সত্য না-ও হতে পারে। কিন্তু যা ঘটে তা দেখতে পাওয়া যায় না।” পৃথার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে জল আরও ঘোলা হয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে তাঁদের এইরকম রসিকতা মোটেই পছন্দ করেনি নেটপাড়া।