বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী আরাবি ইসলাম সুবাকে নওগাঁ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সুবার বন্ধুর বাসা থেকে পুলিশের সহায়তায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন। পরে সুবাকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, নিখোঁজ সুবার লোকেশন নওগাঁ দেখানোর পর থেকেই আমাদের টিম তৎপর ছিল। একপর্যায়ে আমরা জানতে পারি তারা শহরের আরজী নওগাঁ এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছেন। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে তারা পালিয়ে পাশের বাসায় অবস্থান নেয়।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যে ছেলের সঙ্গে সুবা নওগাঁ এসেছে তার নাম মোমিন হোসেন। তার বাসা নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ এলকায়। প্রথমে তারা মোমিনের বাসাতেই অবস্থান করছিল। কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে তারা পালিয়ে পাশের বাসায় অবস্থান নেয়। মোমিনের বাবাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তখন তিনি আমাদেরকে তাদের লোকেশন দেখিয়ে দেন। আমরা সেখান থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট র্যাব-৫ এর হাতে তুলে দেই।
নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, মোমিন ঢাকার একটি পোশাকের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন। টিকটকের মাধ্যমে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি তাদের বিয়ে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সুবার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জে। সে ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার ফুপুর বাসায় থাকতো। সেখান থেকে সুবাহ গতরাতে মোমিনের সঙ্গে পালিয়ে নওগাঁ আসে।
গেল সপ্তাহেই মায়ের ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে সুবার পরিবার রাজধানীতে আসেন। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তার মায়ের কেমোথেরাপি শুরু হয়। ঢাকায় মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাছে এক আত্মীয়র বাসায় ওঠেন সুবার পরিবার।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কৃষি মার্কেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় আরাবি ইসলাম সুবা। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় তার নিখোঁজ সংবাদ। অনেকেই পোস্ট দিয়ে মেয়েটির খোঁজ চান।
মোহাম্মদপুর থানার এডিসি জুয়েল রানা জানান, সুবার বাবা ইমরান রাজীবের সাধারণ ডায়েরি করার পরই শুরু হয় সিসিটিভি বিশ্লেষণ। সেখানে এক ছেলের সাথে কথা বলতে দেখা যায় সুবাকে। পরে সেই ছেলের বাড়ি নওগাঁয় চলে যায় সে।ছেলের বাবা-চাচার সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করেছে। দুজন যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তার বাবা-চাচার সহযোগিতা চাওয়া হয়।