বাংলাদেশি তিনা দাসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সুবিক্ষা সুব্রামনি। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে তামিল ব্রাহ্মণদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি অনুসারে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায় সুবিক্ষা সুব্রামনি তার বাবার কোলে বসে আছেন আর তিনা দাস বসে আছেন তার বাবার কোলে। এরপর, তারা মালাবদল করে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুবিক্ষা সুব্রামনি জানিয়েছেন, এই পরিণয়ের স্বপ্ন তিনি বহুদিন ধরে দেখছিলেন। কিন্তু, তা যে সত্যিই সম্ভব হবে তা কখনো ভাবতে পারেননি।
সুবিক্ষা আরও জানান, তার পরিবার তামিল ব্রাহ্মণ এবং কানাডার ক্যালগারিতে বসবাস করছেন। তিনা দাসও বাংলাদেশের একটি রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারের মেয়ে। তিনিও ক্যালগারিতে থাকেন। ছয় বছর আগে একটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এই দীর্ঘ সময় সম্পর্কের স্বীকৃতির জন্য তারা স্বজনদের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে তাদেরকে রাজি করাতে পেরেছেন।
এদিকে, ২৯ বছর বয়সী সুবিক্ষা ১৯ বছর বয়সে নিজেকে উভকামী হিসেবে আবিষ্কার করেন এবং তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। সুবিক্ষা মাদুরাইতে বেড়ে ওঠেন তারপর কাতার হয়ে কানাডায় পাড়ি জমান।
এ ব্যাপারে সুবিক্ষার মা পুর্নাপুশকালা জানান, তারা ভয়ে ছিলেন কারণ ভারতে থাকা স্বজনরা সুবিক্ষার বিশেষ ধরনের যৌন পরিচয়ে সম্পর্কচ্ছেদই করেন কি না, আবার সমাজ তাদের মেয়ের এই পরিচয়েই বা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়…
অন্যদিকে, ৩৫ বছর বয়সী তিনা দাস বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের মেয়ে। তিনি একজন পুরুষের সঙ্গে চার বছর ঘর করার পর নিজেকে সমকামী নারী হিসেবে আবিষ্কার করেন এবং এই কথা পরিবারে জানাতেই তার বড় বোন সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তারপর অ্যাপের মাধ্যমে সুবিক্ষার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর দুইজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অবশেষে কানাডায় বিয়ের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা। তারপর ভারতে এসে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসরণ করে বিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠান করে তারা এখন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফের কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।