Home আন্তর্জাতিক সু চির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা

সু চির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা

মিয়ানমারের আটক নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে অপরাধ আদালতে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ মামলা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ফেব্রুয়ারি) সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাতিসংঘ বলেছে, সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে দমন অভিযান চালানো হলে ‘চড়া মূল্য’ গুনতে হতে পারে মিয়ানমারকে। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।’

জাতিসংঘের বিশেষ দূত সোমবার (১৫ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ডেপুটি প্রধান সো উইনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

দেশটিতে সোমবার দিবাগত রাতেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে তা আবার চালু করা হয়। পুলিশ ও সেনারা রাতভর বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

‘ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়াটা গণতন্ত্রের মূলনীতির অবমাননা’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার।

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল এনএলডির নেত্রী সু চি ও প্রেসিডেন্ট মিন্টসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিন্দা ও মুক্তির আহ্বান সত্ত্বেও সু চিসহ আটক নেতাদের বন্দি করে রেখেছে সামরিক জান্তা।

সামরিক শাসনের অবসান ও সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবিতে কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান শহরগুলোতে সেনা ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ।