বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ডোজের দ্বিতীয় চালান ২২ ফেব্রুয়ারি আসবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা গ্রহণ শেষে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এবার করোনা টিকার ২০-৩০ লাখ ডোজ আসবে। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে টিকা আনাটা নির্ভর করছে। তবে চুক্তি লঙ্ঘন হওয়ার কোনো বিষয় নেই বলেও জানান তিনি। টিকা নিয়ে সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ক্রিকেটারদের কাউকে টিকা নিতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। যে খুশি সে নিতে পারে।
নিউজিল্যান্ড সফর নিয়ে তিনি বলেন, সোমবারের মধ্যে তালিকা পেয়ে গেলে কাল কিংবা পরশুদিন নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া ক্রিকেটারদের টিকা দিয়ে দেব।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, নিউজিল্যান্ড যেতে রোববারের (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ৫০ শতাংশ ক্রিকেটার টিকা নিয়ে নিয়েছেন। বাকিরা কিছুটা দোদুল্যমনতায় আছে। আজ ২টা পর্যন্ত সময় আছে। এর মধ্যে তারা মতামত জানিয়ে দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কাল কিংবা পরশুদিন তাদের টিকা দেওয়া হবে।
তিনি টেস্ট প্রসঙ্গ বলেন, হেরে গেলে মেজাজ খারাপ হয়। আপনাদেরও খারাপ লাগে, আমারও খারাপ লাগে। কালকে ছিল রাগের কথা। আমাদের ওয়াল্র্ড ক্লাস প্লেয়ার আছে। আমাদের ইমপ্রুভমেন্ট করতে হবে, এ উপলব্ধিটা আসতে হবে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে। স্পিন ছাড়া খেলতে পারব না, এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শট সিলেকশন নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, এ শটে কেউ আউট হয় না। স্ট্র্যাটেজি এবং প্ল্যানিংয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আনতে হবে।
টেস্টের জন্য আলাদা টিম থাকাও দরকার বলেছেন তিনি।
২৫ জানুয়ারি দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ডের ৫০ লাখ করোনার টিকার চালান আসে। তার আগে ২০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এলেও সেটি ছিল বাংলাদেশকে দেওয়া ভারত সরকারের উপহার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ডোজের দ্বিতীয় চালান এটি। প্রতিবারে ৫০ লাখ করে ৬ দফায় ঢাকায় আসবে অক্সফোর্ডের এ টিকা।
গেল ২৭ জানুয়ারি এই টিকা প্রথম ৩০ জনকে দেওয়া হয়। সর্বপ্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক হিসেবে প্রথম টিকা নেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৪ জন। এ ছাড়া সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মোট ৪২৬ জনের মধ্যে।