Home কৃষি সৌদি খেজুরসহ ৪ ধরনের ফসল চাষে কৃষিঋণ

সৌদি খেজুরসহ ৪ ধরনের ফসল চাষে কৃষিঋণ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামি নারকেল, সুইট কর্ন ও কফি এ চারটি নতুন ধরনের ফসল চাষে কৃষিঋণ দেবে ব্যাংক।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের কৃষি-পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বর্ণিত শস্য, ফসল, ফল-ফুল ইত্যাদির সঙ্গে সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামী নারকেল, সুইট কর্ন ও কফি চাষ অন্তর্ভুক্ত হবে।

সৌদি খেজুর চাষে (বাগান পরিচর্যার জন্য) একরপ্রতি ১০ লাখ ৫ হাজার ৪০০ টাকার ঋণ পাবেন একজন কৃষক। ভিয়েতনামী নারকেল উৎপাদনে একজন কৃষককে ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। সুইট কর্ন চাষে একরপ্রতি ৬৬ হাজার টাকা এবং কফি চাষ করার জন্য একরে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে প্রতি কৃষককে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামী নারকেল ও কফি চাষের জন্য সারা বছর ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। তবে সুইট কর্নে ঋণ দেওয়া হবে ১৫ নভেম্বর-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা ফসল সংগ্রহের পর থেকেই শুরু হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর ২৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের ব্যাংক ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করবে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর গত এপ্রিলে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তহবিল থেকে হর্টিকালচার, ফুল, ফল, মৎস্য, পোলট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ খাতে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়।

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর কৃষি খাতের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদের প্রণোদনার ঋণ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার কৃষি খাতের জন্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এই তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য ও ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানত ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। ঋণের সুদের হার আগের মতো ৪ শতাংশই থাকছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের এই তহবিলের অর্থও বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব উৎস থেকে সরবরাহ করবে। তহবিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।