বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: সোনার দাম বাড়ছে রকেটের গতিতে। আজ রবিবার থেকে প্রতিভরিতে বাড়লো ৪,১৮৭ টাকা। ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৩,২১৪ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এই তথ্য জানিয়েছে । যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির ফলে বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই সোনার দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মাঝে কিছু দিন দাম কমেছিল। শুল্ক বাড়ানো নিয়ে চিন এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় আর্থিক ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তাতে লগ্নিকারীরা সোনাকেই আকড়ে ধরছেন। সেই তালিকায় শুধু সাধারণ লগ্নিকারীই নন, রয়েছে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তারা বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার বাড়ানোর বদলে সোনা কিনছে। যা বিশ্ব জুড়েই ধাতুটির দাম বাড়াচ্ছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৬৩,২১৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৫,৭৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩,৫৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১০,২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫% ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬% যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
গত ১০ এপ্রিল দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হয়। ভরিতে ২,৪০৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৯,০২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সোনার দাম আকাশ ছোঁয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে গয়নার বাজারে। মূলত কেনাকাটা কমেছে মাঝারি ও ছোট দোকানে। সোনার দোকানের কয়েকজন মালিক জানালেন যে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। কেনাকাটা পুরো
থমকে।
এই বছর ২০ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৫ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনারদাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।