Home First Lead সোমবার থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন

সোমবার থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে ।

এসময় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদফরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এ সময়ে জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের সাত জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে, এটি দেশব্যাপী হবে। তাহলে হয়তো সংক্রমণের চেইনটা ভাঙা সম্ভব হবে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, আপাতত সাত দিনের জন্য কঠোর এই বিধিনিষেধ পালন করা হবে। পরে প্রয়োজন হলে আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন এবার এই সিদ্ধান্ত কঠোর ভাবে মানার জন্য পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকতে পারে ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি পরে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।

বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কয়েকবার এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ প্রায় এক মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

শুরুতে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকার কঠোর থাকলেও আস্তে আস্তে নমনীয় হতে দেখা যায়। এ কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারের দেওয়া নির্দেশনা এখন আর মানা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কীভাবে নতুন করে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধ না মানার প্রবণতার বিষয়গুলো আমাদের মাথায় আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’