জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত জানিয়েছেন, সে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে তাকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে । পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যৌনাঙ্গ, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে । হত্যার পর ওই কিশোরীর লাশ নিয়ে রেললাইনে ফেলে আসে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শনিবার রাতে রিফাত আটোয়ারীর রাধানগর এলাকার একটি বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে যান। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন। পুলিশ তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে এক নারীকে হত্যার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পায়। এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে ট্রেনে দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড়ে আসার পথে এক নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পথে ওই নারীকে নিয়ে তিনি আটোয়ারীতে নামেন। ওই নারীকে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে নারীকে হত্যা করে লাশ রেলপথের ওপর ফেলে রাখেন। পরদিন ১৪ জানুয়ারি আটোয়ারীর রেলপথে এক নারীর খণ্ড-বিখণ্ড লাশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনসী বলেন, রিফাতকে আটকের পর আটোয়ারী থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। একটি ধর্ষণের পর হত্যা মামলা, অপরটি ইজিবাইক চুরির মামলা। রোববার এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হলে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর সঠিক এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমরা তার পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তবে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে স্বীকার করেছে। আসামীর সীকারোক্তি মতে একাধিকবার ধর্ষণের পর ওই নারী বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে এবং তার মাকে নিয়ে গালাগালি করায় তাকে হত্যা করে সাজ্জাদ। তবে ধর্ষিত ও হত্যার শিকার ওই নারীর পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।