বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেয়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করে সোলেমান। ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে কম্বলে মুড়িয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে যায় ।
মোঃমাসুদ রানা, রামগড়(খাগড়াছড়ি): রামগড় উপজেলার নাকাপা মধুপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা মামলার আসামি সোলেমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিআইডি কার্যালয়ে এ ব্যাপারে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
সিআইডি জানায়, সোমবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে মোহাম্মদ সোলেমান হোসেন’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়,
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেয়ায় ৩০ ডিসেম্বর স্ত্রী খালেদা আক্তার পিংকি ও মেয়ে সালমা আক্তারকে হত্যা করে সোলেমান। ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে কম্বলে মুড়িয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে যায় সে।
রামগড় থানার (ওসি )মোঃ শামসুজ্জামান জানান গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে আসামি সোলেমান স্ত্রী ও মেয়ে সন্তানকে হত্যা করে কম্বল মুড়িয়ে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজনরা খবর দিলে ৩ জানুয়ারী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে মামলা টি সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয় আসামিকে খাগড়াছড়ি আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ যে গত ৩০ ডিসেম্বর স্ত্রী ও কন্যা সন্তান কে হত্যা করে পালিয়ে যান সোলেমান। খালেদার বাবা আব্দুল খালেক দুলাল মেয়েকে ফোনে না পেয়ে তাদের বাড়িতে যান।সেখানে গিয়ে দেখতে পান মেয়ের ঘরের দরজায় তালা দেওয়া। মেয়ে এবং জামাতার কোন সন্ধান কোথাও না পাওয়াতে বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজ নেন। কোথাও না পেয়ে পুনরায় মেয়ের শাশুড়ি সহ মেয়ের বাড়িতে ৩ জানুয়ারী আবার যান। আব্দুল খালেক দুলাল তালাবন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার মানুষকে ডেকে নিয়ে আসেন। ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখেন মেয়ে খালেদা আক্তার পিংকি (২১)এবং তার ৬ মাসের কন্যা সন্তান সালমার গলা কাটা লাশ পড়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী রামগড় থানায় খবর দেয়। পুলিশের একটি টিম লাশ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ১২দিন পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি আজ মঙ্গলবার ১১জানুয়ারী সকালে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা মামলার আসামী মোহাম্মদ সোলেমানকে আটক করেন।