কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি রফিকুল ইসলাম লালন জানান, ‘রত্না হত্যা মামলায় জড়িত আসামি রনির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সাক্ষ্য ও শুনানী শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডের আদেশ ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার দণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
লিলি খাতুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কৃষ্টিয়া: স্ত্রী হত্যা মামলায় রনি হোসেন (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলামের আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় দেন।
রায়ে কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার আদেশ দেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. রনি হোসেন (৩৯) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল চার মাইল এলাকার বাসিন্দা। মামলার অপর আসামি রনির মা লিলি খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি রফিকুল ইসলাম লালন জানান, ‘রত্না হত্যা মামলায় জড়িত আসামি রনির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সাক্ষ্য ও শুনানী শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডের আদেশ ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার দণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
লিলি খাতুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ জুন বিকেল সাড়ে চারটায় মিরপুর উপজেলার তাঁতিবন্দ গ্রামের রত্না খাতুনকে (৩৫) বটতৈল চার মাইল এলাকা থেকে বাজার করে দেওয়ার নাম করে কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ায় রনির মা লিলি খাতুনের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় রনি। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি তার স্ত্রী রত্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরদিন ১৬ জুন নিহতের ছোট ভাই মো. বিশাল হোসেন বোন রত্নাকে হত্যার অভিযোগ এনে রনি ও রত্নার শাশুড়ি লিলি খাতুনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে গেল বছরের ৩১ আগস্ট এজাহারভুক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সদর থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের আদালতে চার্জশিট দেয়।