Home First Lead স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চায় বিজিএমইএ

স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চায় বিজিএমইএ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: প্রধান কাঁচামাল সুতা আমদানি সংক্রান্ত বাধা অপসারণে বেনাপোল বন্দরের বাইরে দেশের অন্যান্য সব স্থলবন্দরেও একই অনুমতি চেয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

এ ছাড়া একই ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে আংশিক (পার্শিয়াল) আমদানির অনুমতিও চেয়েছে সংগঠনটি। এই দাবিতে শনিবার বাণিজ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। চিঠিতে পোশাক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ইয়ার্নের সাম্প্রতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। বর্তমানে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে একই এলসির বিপরীতে আমদানিকারকরা চাইলে কেবল চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে তার আংশিক আমদানি (পার্শিয়াল ইমপোর্ট) করতে পারেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। অন্য দিকে কেবলমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে সুতা আমদানি করা যাবে, তাও আংশিক নয়। ফলে অনেকেই স্বল্প লিড টাইম ধরতে হলে বেনাপোল দিয়ে আমদানি করতে চান, কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে পার্শিয়াল ইমপোর্ট করতে পারেন না।

দীর্ঘ দিন ধরে এই নিয়ম থাকলেও সম্প্রতি স্থানীয় বাজারে ইয়ার্নের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। পোশাক রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, এই প্রতিবন্ধকতার সুযোগে স্থানীয় টেক্সটাইল মিল মালিকরা ইয়ার্নের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও স্থানীয় টেক্সটাইল মিল মালিকদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার দাম বাড়ার কারণেই ইয়ার্নের দাম বাড়ছে। বিজিএমইএর পাঠানো চিঠিতে বেনাপোল বন্দরের পাশাপাশি ভোমরা ও সোনামসজিদের মাধ্যমে ইয়ার্ন আমদানির অনুমতি দেওয়া এবং ওইসব বন্দরের ওয়্যারহাউজিং সক্ষমতা ও লোকবল বাড়ানো এবং সার্বিকভাবে অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হয়। একই এলসির বিপরীতে আংশিক শিপমেন্টের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

শিল্পের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উপস্থাপন করে বিজিএমইএ।

দাবিগুলো হলো-

১. বেনাপোলের পাশাপাশি অন্যান্য স্থলবন্দর, বিশেষ করে ভোমরা ও সোনামসজিদের মাধ্যমে বন্ড সুবিধার আওতায় তুলা, সুতা, কাপড় এবং বস্ত্র ও পোশাক খাতের অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি অনুমোদনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা।

২. বেনাপোল স্থলবন্দর এবং অপরাপর সব অনুমোদিত স্থলবন্দর দিয়ে বস্ত্র ও পোশাক খাতের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আংশিক শিপমেন্টের অনুমোদন দেওয়া।

৩. বেনাপোল স্থলবন্দর এবং অপরাপর সব অনুমোদিত স্থলবন্দরের পণ্য সংরক্ষণ, ওয়্যারহাউজিং সক্ষমতা এবং প্রয়োজনীয় লোকবল বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। যাতে প্রস্তাবিত নীতিমালা সংস্কারের ফলে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির কারণে অবকাঠামো ও লোকবলের অভাবে বন্দরে কোনো ধরনের পণ্য পরিবহন জট বা জটিলতা তৈরি না হয়।