সোবহান আলম, নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর) থেকে:স্থানীয়দের অংশীদারিত্ব দিয়ে আশুড়ার বিল উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নকশাসহ বিভিন্ন কাজ শুরুও করছেন এস এ আর এম এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর পরিচালক ( অপারেশন ) প্রকৌশলী মাসুম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিলের জায়গা দখল করে চাষাবাদকারি স্থানীয় লোকজনকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আশুড়ার বিলকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ২৪ অক্টোবর ২০১০ সালে গেজেট প্রকাশিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৫১৭.৬১ হেক্টর বা ১২৭৮.৪৯ একর বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বিশাল শাল বন ছাড়াও আশুড়ার বিল, সীতার কোট বিহার ও বাল্মিকী মনির থান অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনমাতানো নান্দনিক এই বিলটিতে বর্ষা মৌসুমে দেশি প্রজাতির মাছ, হারিয়ে যাওয়া জাতীয় শাপলা ফুলের চাষ করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান নামে নামকরণ করা হয়। বিলে নির্মাণ করা হয়েছে ইংরেজি বর্ণ জেড এর ন্যায় কাঠের সেতু যার নামকরণ করা হয় শেখ ফজিলাতুন্নেসা সেতু।
আশুড়ার বিলকে মাছের অভয়াশ্রম ও পর্যটন উপযোগি করতে পানি ধারণের জন্য রাবার ক্রসড্যাম নির্মাণ করেছিল উদ্যান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বন ও বিলের জায়গা জবর দখলকারী এলাকার কিছু লোক সেই রাবার ক্রসড্যাম ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত করে পুনরায় বিলে ধান চাষ করে আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনার চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব বলেন স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করলে তাদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। অত্র এলাকার মানুষের বিনোদনের জায়গার এক অপার সম্ভাবনাময় স্থান এই শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান। এখানে জলাশয় ও বনের যে সমন্বয় তার যদি সঠিক ব্যবহার করতে পারে তবেই এটি হতে পারে অত্র এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম একটি মাধ্যম।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান যারা এখানে চাষাবাদ করছে তাদের কোন কাগজপত্র নেই, তাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় উদ্যানের উন্নয়নের কথা আমরা চিন্তা করিনি। পর্যটন কেন্দ্র হলে আমরা তাদের অংশীদার করতে চাই। তারা যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে প্রশাসন বিল উদ্ধার করে বনের বিপন্নতা রক্ষা করবে, যা তাদের জন্য হতে পরে ক্ষতির কারণ।