নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বাস্তবায়িত স্বপ্ন প্রকল্পের ১৭ জন নারী কর্মী ১০ বছরের জন্য বাসকপাতা চাষের জন্য লিজ নিয়েছেন।
তাদের অনেকে বাড়ির আশপাশে খোলা জায়গায় ভেষক গুণসম্পন্ন বাসক চাষ করে বাড়তি আয়ের উৎস খুঁজে পেয়েছেন।
সড়কের ধারে ঔষধি গাছ বাসকের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন তারা। তাদের চাষ করা ঔষধি বাসকপাতা কিনে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন নামকরা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
দাসিয়ারছড়ার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষ দিকে দাসিয়ারছড়ায় রাস্তার ধারে ১৮ হাজার বাসকের চারা রোপণ করা হয়। একবছর পর প্রথম পাতা সংগ্রহ শুরু হয়।
প্রথমবার বাসকপাতা ১১ হাজার টাকা বিক্রি করেন। ৪ মাস পর দ্বিতীয় দফায় ৩১ হাজার টাকার বাসকপাতা বিক্রি করেন।
সেই টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১৭ জন স্বপ্ন প্রকল্পের কর্মীদের যৌথ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা হয়। বাসকপাতার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে এটাই তার উদাহরণ।
জানা যায়, চার মাস পরপর বাসকের কাঁচা পাতা সংগ্রহ ও গাছ পরিষ্কার করতে হয়। এরপর দু-তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে পাতা শুকাতে দিতে হয়।
একটি প্রাপ্তবয়স্ক গাছ থেকে তিন মাস পরপর চার কেজি কাঁচা পাতা পাওয়া যায়, যা শুকিয়ে হয় এক কেজি। প্রতিকেজি বাসকপাতা ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।