ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)প্রায় ১৫ মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে।
পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন ও দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়ায় গত বছরের ১৯ মার্চ শেয়ারের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের পতন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। এর আগে টানা পতনের কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৩৬০৩ পয়েন্টে নেমে আসে। পরদিন ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বাড়ায় সূচকটি ৩৭১ পয়েন্ট বাড়ানো হয়। এতে সূচকটি ৩৯৭৪ পয়েন্টে উন্নীত করা হয়।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর দরের সর্বনিম্ন সীমা তুলে নেওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকারে (মূল্যস্তর সীমা) ফিরেছে পুঁজিবাজার। বৃহস্পতিবার দরহ্রাসের সর্বনিম্ন ২ শতাংশ সীমা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার প্রথা আরোপ করেছে বিএসইসি। বিএসইসি তাদের এ-সংক্রান্ত আদেশে বলেছে, ফ্লোর প্রাইস উঠে গেলেও শেয়ারের দামের প্রতিদিনের ওঠানামার ওপর আগের মতোই মূল্যস্তর বা সার্কিট ব্রেকার থাকবে। যেসব কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ২০০ টাকা পর্যন্ত, সেসব কোম্পানির দাম এক দিনে ১০ শতাংশের বেশি বাড়তে বা কমতে পারবে না। যেসব শেয়ারের দর ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, সেগুলোর দাম দিনে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশের বেশি বাড়তে বা কমতে পারবে না। ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দামের শেয়ারের ক্ষেত্রে এ মূল্যস্তর সাড়ে ৭ শতাংশ। ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকার বাজারমূল্যের শেয়ারে এ সীমা ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দামের শেয়ার দরের ওঠানামার সীমা ৫ শতাংশ। আর ৫ হাজার টাকার বেশি দামের শেয়ার এক দিনে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।