Home Uncategorized স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই খোদ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে

স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই খোদ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে

চট্টগ্রাম: স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার কোন বালাই নেই খোদ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। এ তথ্য জানিয়েছেন ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই’ শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও  মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

বিদেশগামী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের করোনা রিপোর্ট পেতে দুর্ভোগ ও ভুল রিপোর্টের ব্যাপারে খোঁজ নিতে বুধবার সকাল ১১ টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে ঐ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। সিভিল সার্জনকার্যালয়ে প্রবেশের সময় দেখেছেন যে ফিস জমাদান, নমুনা প্রদান ও রিপোর্ট গ্রহনের কাউন্টারসমূহে প্রায় শতাধিক লোক একজনের কাঁধের সাথে অন্যজনের কাঁধ ঘেষে জটলা করে আছে। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি’র সাথে সাক্ষাত করেন খোরশেদ আলম সুজন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, মনিরুল হক মুন্না, উৎপল দত্ত প্রমূখ।

সিভিল সার্জনকে তিনি বলেন,  বিদেশ ভ্রমণে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক। সরকার সবকিছু বিবেচনা করে বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য  সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ দেশে কয়েকটি বিশেষ নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে। এতে প্রতিজন যাত্রী ৩৫০০ টাকার বিনিময়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট লাভ করার নির্দেশনা দেন।

কিন্তু দুঃজনকভাবে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কেন্দ্রটিতে চরম অব্যবস্থাপনার সাথে বিলম্ব রিপোর্ট প্রদানের কারণে অনেকে ফ্লাইট মিসের ফাঁদে পড়ে বিদেশ যাত্রা মিসের শিকারে পরিণত হন। এতে রেমিটেন্স যোদ্ধারা আর্থিক ও মানসিক দুর্ভোগের শিকার হন। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ভোগান্তির কারণ এবং এর দায় কে নেবেন তাও জানতে চান তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক করোনার নমুনা পরীক্ষায় অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি বেসরকারি প্যাথলজি কর্তৃক উচ্চহারের ফিস নিয়ে ভুল রিপোর্ট প্রদানের ব্যাপারে সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষন করে ঐ বেসরকারি প্যাথলজি নমুনা পরীক্ষায় নিম্নমানের কীট কিংবা আনাড়ি টেকনিশিয়ান ব্যবহার করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান।

আরো বলেন বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ফি দিয়ে যদি কোন প্রবাসী যাত্রী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার রিপোর্ট না পান সেক্ষেত্রে তার ফ্লাইট টিকেটের অফেরতযোগ্য মূল্য ও অন্যান্য আর্থিক ক্ষতির দায় সিভিল সার্জন অফিসকেই নিতে হবে। তিনি রিপোর্ট প্রদানে আগতদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি   বেশ কয়েকজন প্রবাসী যাত্রীর করোনা নমুনা পরীক্ষার সনদ বিলম্বে পাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সার্ভার সমস্যার কারণে বিআইটিআইডি মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের রিপোর্ট অনলাইনে আপলোড করতে পারেনি। ডাটা এন্ট্রি করতে বিলম্বের কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, এখন আর কোন সমস্যা নেই।  নমুনা পরীক্ষায় জটলা, সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনাব সুজনের উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি