সৌদি আরব চলতি বছরে ১০ লাখ মুসল্লিকে হজব্রত পালনের অনুমতি দিচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে সৌদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার এক টুইট বার্তায় সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়ে জানায়, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্ধিত হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী দেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এতে বলা হয়েছে, হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের নিচে হতে হবে এবং পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া থাকা লাগবে। এছাড়া, সৌদির উদ্দেশে রওনা হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ লাগবে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রত্যেক হজযাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হজ পালনের সময় তাঁদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় নেওয়া সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর সীমিতসংখ্যক হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেছেন। মহামারির আগের বছরগুলোতে হাজির সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেত।
মন্ত্রণালয় বলছে, সর্বোচ্চসংখ্যক হজযাত্রীকে হজ পালন এবং মসজিদে নববী পরিদর্শনের সুযোগ দিতে আগ্রহী সৌদি আরব। একই সঙ্গে তাঁদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষা দেওয়াও সরকারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
এদিকে সৌদিতে ওমরাহ পালনের জন্য বিদেশি মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। পবিত্র রমজানের প্রথম সপ্তাহে ওমরাহ হজ পালনে রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি সৌদি আরব উপস্থিত হয়েছেন। মক্কায় মুসল্লিদের চাপ সামলাতে কাবা শরিফে সম্প্রসারিত অংশে খুলে দেওয়া হয়েছে ৮০টি নতুন হল।
পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে প্রতি বছর সারা বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ওমরাহ পালনের জন্য মক্কা নগরীতে উপস্থিত হন। সারা বছর মুসল্লিদের সরব উপস্থিতি থাকলেও রমজানে ওমরাহ পালনে মুসল্লিদের চাপ থাকে সবচেয়ে বেশি।
গেল দুবছর করোনা মহামারিতে নানা বিধিনিষেধ থাকায় বিদেশি মুসল্লিদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আট লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৯ জন বিদেশি নাগরিক ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিতে এসেছেন।
সৌদি আরবে করোনার সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায়, এবারের রমজানের শুরু থেকেই বিদেশি মুসল্লিদের ঢল নেমেছে পবিত্র মক্কা নগরীতে।- খবর আরব নিউজের।