বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ: শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরের এই সংঘর্ষ হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের দুইজন সাংবাদিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির মানববন্ধন চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেয়। এনিয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু সময় বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় একটি গাড়ি ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এসময় মাইটিভির প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজা, জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা শেখ রাসেলসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সমকালের জেলা প্রতিনিধি রাসেল চৌধুরী জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির মানববন্ধনের খবর সংগ্রহ করতে যান নীরঞ্জন গোস্বামী ও আমীর হামজা। তখন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে দুজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিক তাঁদের হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুজনের শরীরে ১০টির অধিক গুলি লেগেছে। এর মধ্যে নীরঞ্জন গোস্বামী শুভর চোখে বেশি আঘাত লেগেছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন সেলিম জানান, মানববন্ধন শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে। মানববন্ধনে বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সাবেক মহিলা এমপি শাম্মী আক্তার শিপা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সাবেক এমপি শেখ সুজাতসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, বিএনপির মানববন্ধন শেষে দলটির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে তিনিসহ পুলিশের আরও ১০-১৫ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওই এলাকায় বর্তমানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।