হরিপুরে পুরোনো একটি গ্যাসকূপ সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) কর্তৃপক্ষ। এ কূপ থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে পুরোনো একটি গ্যাসকূপ সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) কর্তৃপক্ষ। এ কূপ থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, পরীক্ষার বিষয়টি শেষ হলেই জানা যাবে, কী পরিমাণ গ্যাস সেখানে মজুত রয়েছে। গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ কূপ থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
তিনি বলেন, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নম্বরে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেরামতে কাজ করছি। ১৪ অক্টোবর দুই হাজার ১০ মিটার গভীরতায় পরীক্ষা করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আজ ওই কূপের আরেকটি জোনে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় ফের গ্যাসের সন্ধান মেলে।
তিনি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করলে জানা যাবে কী হরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগতে পারে।
মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সিলেটে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু বলা যাবে।
এর আগে ২৪ মে সিলেটের কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এ নিয়ে গত এক বছরে সিলেটের পাঁচটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিললো।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা হচ্ছে ২৯টি। তার মধ্যে এসজিএফএল নিয়ন্ত্রণে আছে পাঁচটি। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- হরিপুর, রশিদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।