Home আইন-আদালত হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশের তদন্ত শুরু

হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশের তদন্ত শুরু

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড (ঋণ সুবিধা) অংশটি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এর জন্য কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) আট সদস্যের তদন্ত কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অনুসন্ধান দলের অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক এস এম আক্তার হামিদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান ও সেলিনা আক্তার মনি, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও সিলভিয়া ফেরদৌস এবং উপসহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান ও আফনান জান্নাত কেয়া।

জানা গেছে, হলমার্কের ঋণের নন-ফান্ডেড অংশের আওতায় সোনালী ব্যাংকের ব্যাক-টু-ব্যাক ক্রেডিট চিঠি গ্রহণের পরে কমপক্ষে ৩৭টি দেশি ও বিদেশি ব্যাংক হলমার্ক গ্রুপকে ঋণ সুবিধা দিয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৪ সালে হলমার্ক গ্রুপের আত্মসাৎ করা অর্থ আদায় করার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে বেশকিছু ত্রিপক্ষীয় চিঠি আদান-প্রদান করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেসময় নন-ফান্ডেড অংশের ঋণ আদায়ের সুবিধার্থে দুদকের তদন্ত স্থগিত রাখতে অনুরোধ করে। এছাড়া কমিশনের কর্মকর্তাদের বদলি, পদোন্নতি, অবসরজনিত নানা কারণে অনুসন্ধানটি সে সময় সম্পন্ন করা যায়নি।

দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে আগের ওই কমিটিকে পুনর্গঠন করে নন-ফান্ডেড অংশটির অনুসন্ধান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, হলমার্ক গ্রুপ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধার অংশ হিসেবে জালিয়াতি করে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২০১২ সালে হলমার্কের বিরুদ্ধে মোট ৩৮টি মামলা করেছিল দুদক। প্রায় সবগুলো মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে আদালতে। কিন্তু হলমার্ক ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে নন-ফান্ডেড যে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণসুবিধা নিয়েছিল, সেটির তদন্ত তখন স্থগিত রাখা হয়েছিল।

দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, বর্তমানে কমিটি পুনর্গঠনের কারণ হলো, যে ৪১টি ব্যাংক এবং শাখায় এই আর্থিক লেনদেনগুলো হয়েছে, সেখানে জাল-জালিয়াতির কোনও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে কিনা, কোনও দুর্নীতি ঘটেছে কিনা- এই বিষয়গুলো পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কমিটি অনুসন্ধান করে যে প্রতিবেদন দাখিল করবে, কমিশন তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।