যেভাবে ইনস্টাগ্রাম তুঁতে নীল রঙের সমুদ্রের ছবিতে সেজে উঠছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে বিটাউনের সেলেব্রিটিদের সবথেকে প্রিয় জায়গাই এখন মালদ্বীপ। মুম্বাইয়ের পর বেশিরভাগ সময় মালদ্বীপেই তাঁদের এখন দেখা যাচ্ছে। না, সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য নয়। প্রিয়জনের সঙ্গে নিভৃতে একা সময় কাটাতেই দেখা যাচ্ছে তাঁদের। কিন্তু এত জায়গা থাকতে মালদ্বীপ এত প্রিয় কেন?
লকডাউনের মধ্যে হাঁসফাঁস করার মতো দশা হয়েছিল সকলের। একই অবস্থা হয়েছিল বলি সেলেবদেরও। যতই সেলেব হোন, মানুষ তো! তাঁদের মনও আমার আপনার মতো। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকেন, চলে ছোটাছুটি। হঠাৎ লকডাউনের পর সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ঘরে বেশিদিন থাকতে থাকতে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল যেন। তাই ইন্টারন্যাশানাল ফ্লাইট চলতে শুরু হওয়ায় বেরিয়ে পড়েছেন একে একে।
তথ্য বলছে, গত বছরে মালদ্বীপে ১.৯ মিলিয়ন পর্যটক গেছেন। সে সময় সপরিবারে করিনা কাপুর খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে দেখা গিয়েছিল। তার পর এই বছর তাপসী পান্নু, নেহা ধুপিয়া, বরুন ধাওয়ান, দিশা পাঠানি, টাইগার স্রফ, কাজল আগারওয়াল, মাসাবা গুপ্তা প্রত্যেকেই গেছেন সেখানে। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এত জায়গা থাকতে কেন মালদ্বীপ। কিছু কারণও সামনে এসেছে।
১. মালদ্বীপ ভ্রমণে এখন কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই করোনা আবহেও। ভিসা পাওয়ার পদ্ধতি খুব একটা জটিল না। এমনকি ভারতীয়রা ৩০দিন বিনা ভিসাতেই থাকতে পারেন মালদ্বীপে।
২. যাওয়াটাও বেশ সোজা। এয়ারপোর্টে নামার পর সি প্লেনে সোজা একটা দ্বীপে নামিয়ে দেয়। তার পর রিসর্টেই থাকছেন তাঁরা।
৩. অনেকেই নির্জন জায়গা পছন্দ করেন। মালদ্বীপে ১২০০র বেশি ছোট ছোট দ্বীপ আছে। তার মধ্যে পর্যটকরা শুধুমাত্র ৫০টা দ্বীপে থাকার সুযোগ পান। এর মধ্যেও আবার কিছু কিছু প্রাইভেট বীচ আছে। সেলেবদের সেখানেই দেখা যায় বেশিরভাগ সময়।
৪. এক একটা জায়গা এক একরকম ভাবে চমকে দেয় সকলকে। ঘুরতে গেলে এই চমকটার আশা প্রত্যেকেই করেন।
৫. অনেকেই আছেন যাঁরা ওয়াটার অ্যাক্টিভিটি ভীষণ পছন্দ করেন। সে ব্যবস্থাও আছে এখানে। স্নরকেলিং, সেইলিং, ওয়াটার ডাইভিং করতে পারেন এখানে এসে।
৬. পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ও আকর্ষণীয় রিসর্টগুলোর মধ্যে কয়েকটি এখানে আছে। ফলে সেখানেও অনেকে নিভৃতে সময় কাটান।
৭. বিশ্বের প্রথম আন্ডার ওয়াটার রিসর্ট এখন মালদ্বীপেই। মারুকা নাম সেই রিসর্টের। যার ঘরে বসেই সমুদ্রের তলার জীবন, প্রাণী সব দেখা যায়।
৮. মালদ্বীপে সুরক্ষার বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে চুরি, ডাকাতি একেবারেই হয় না। ফলে যে কেউ এখানে গেলে সুরক্ষিত থাকবেন।
৯. মালদ্বীপের চকলেট, টুনা মাছও বিখ্যাত। টুনা মাছের সুস্বাদু পদ থেকে দূরে থাকাটা কিন্তু খুব কঠিন।
১০. মালদ্বীপ ভীষণ শান্ত। সরল, মনোরম পরিবেশ মন ভাল রাখে। এই কারণেও অনেকে যাচ্ছেন স্ট্রেস কাটাতে।