বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
টেক্সাসের হিউস্টন শহরের চিনা দূতাবাসটি শুক্রবারের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চিনকে নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করে পালটা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং।
বুধবার, মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট-এর মুখপাত্র মর্গ্যান অরটাগাস এক বিবৃতিতে জানান, আমেরিকার ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ এবং গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি এই বার্তাও দিয়েছেন, আমেরিকার সর্বভৌমত্বে আঘাত করেছে চিন। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভিয়েনা চুক্তিতেই স্থির হয়েছিল, আমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো যাবে না। সেই শর্ত ভঙ্গ করেছে বেজিং। ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস ছাড়াও, আমেরিকায় আরও পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে চিনের। তার মধ্যে হিউস্টনের দূতাবাসটিই কেন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হল সেই কারণ এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তা নিয়ে মুখ খোলেননি অরটাগাস।
এদিকে, আমেরিকার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চিন। দেশটির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “চিনা দূতাবাস বন্ধ করে দু’দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলছে আমেরিকা। তারা এই পদক্ষেপ দ্রুত প্রত্যাহার না করলে পালটা দিতে বাধ্য হবে চিন।” উল্লেখ্য, মার্কিন মিডিয়ার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে হিউস্টনে চিনা দূতাবাসে বেশকিছু নথি পুড়িয়ে ফেলতে দেখা যায় চীনা কর্মকর্তাদের। দূতাবাসের পিছনের অংশে থাকা ডাস্টবিনে আগুন জ্বালানো হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত করতে গেলে টেক্সাসের পুলিশকর্মীদের দূতাবাস চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও কথা বলেননি ওয়াং ওয়েনবিন।