বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের হিজাব বিতর্ক নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। বলেন, হিজাব পরার জন্য কাউকে যদি ভয় দেখানো হয়, তা অত্যাচারের শামিল।
তিনি বলেন, “মুসলিম মেয়েদের যেভাবে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কাউকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। কুরেশির দাবি, ভারতে মুসলিমদের ভয় দেখিয়ে ছোট্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। সেকথা আন্তর্জাতিক মহলের বোঝা উচিত।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন টুইট করে বলেন, “ভারতে যা চলছে, তা রীতিমতো ভীতিকর। ভারতের সমাজে স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে দ্রুত। কেউ হিজাব পরবেন কিনা, তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার।”
কর্নাটকে হিজাব বিতর্কে দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। এসম্পর্কে মুখ খুলেছেন সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই। তিনি টুইট করে বলেছেন, “হিজাব পরা মেয়েদের যেভাবে স্কুলে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা ভীতিকর। মেয়েদের পণ্য হিসাবে দেখার মানসিকতা এখনও অনেকের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। মুসলিম মহিলাদের ওপরে যাতে অবিচার না হয়, তা ভারতীয় নেতৃত্বের দেখা উচিত।”
হিজাব বিতর্কে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়ে এদিন মন্তব্য করেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরগ জ্ঞানেন্দ্র। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, তারা কেউ কলেজের ছাত্র নয়।
কর্নাটকের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোক বলেন, সরকার হিজাব বা গেরুয়া চাদর, কোনটিই অনুমোদন করে না। ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় যা খুশি পরতে পারে। কিন্তু ক্লাসরুমে ড্রেস কোড মানতেই হবে। হিজাব বিতর্কের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেন মন্ত্রী।