বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
উদুপির পাঁচ পড়ুয়া হিজাব পরার উপরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কর্নাটকের হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তাদের একজন হাজরা শিফা। তিনি সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন যে “হিজাব তো কেবল মাথা ঢেকে রাখে, ব্রেন নয়। তাহলে হিজাব পরা নিয়ে এত সমস্যা কেন?”
এর আগে মুসকান নামে এক ছাত্রী প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, এক টুকরো কাপড়ের জন্য পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কোণঠাসা করা হচ্ছে মুসলিম ছাত্রীদের।
গত কয়েক দিনে কর্নাটকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে গেরুয়া উত্তরীয় পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। পাল্টা হিজাবের সমর্থনে পথে নেমেছে মুসলিম পড়ুয়াদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে বড় ধরনের অশান্তি এড়াতে বেঙ্গালুরুর সব স্কুল-কলেজের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে কর্নাটক সরকার। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই বন্দোবস্ত বলবৎ থাকবে বলে সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
উদুপির পাঁচ পড়ুয়া হিজাব পরার উপরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। গত কালই আর্জির এক দফা শুনানি হয়েছিল। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দীক্ষিত বলেছেন, হিজাব পরাকে মৌলিক অধিকারের আওতায় আনতে মামলা দায়ের করেছিলেন দুই মুসলিম ছাত্রী। কিন্তু ব্যক্তিগত আইনের ((পার্সোনাল ল)) কিছু দিক বিবেচনা করে দেখলে বোঝা যাবে এই বিষয়গুলি অনেক সাংবিধানিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। তাই মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার অনুমতি চেয়েছিলেন পাঁচ পড়ুয়ার আইনজীবীরা। কিন্তু বিচারপতি জানান, এ নিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চেই সওয়াল করতে হবে।
এই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা সরিয়ে এনে, দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়ে আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বলেন, “হাই কোর্টে মামলার শুনানির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে আমরা কেন হস্তক্ষেপ করতে যাব?”