বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
টানা বিক্ষোভের জেরে অবশেষে হিজাব আইন বদলের ইঙ্গিত দিল ইরান । সেদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মনতাজরি গত শুক্রবার জানান, ইরানে নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরিধান সংক্রান্ত আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে সংসদ ও বিচার বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। তবে আইনে ঠিক কী কী পরিবর্তন আনা হতে পারে, সে ব্যাপারে তিনি কোনও ইঙ্গিত দেননি।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে যেভাবে গোটা ইরান তথা বিশ্ব গর্জে উঠেছে, তাতে স্বভাবতই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছে সেদেশের মৌলবাদী সরকার। এমনকী বিশ্বকাপের মঞ্চেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন গলা মেলাননি ইরানের জাতীয় দলের ফুটবলাররা। এই প্রতিবাদ ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী রূপ নিয়েছে। তারপরেই রাতারাতি আইন বদলানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করল ইরান সরকার।
১৯৮৩ সালে ইরানে এই হিজাব সংক্রান্ত আইন চালু করা হয়। তখন থেকেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারীর মাথা ঢেকে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। সম্প্রতি মাহসা আমিনি নামে এক তরুণী সেই আইন অমান্য করায় গ্রেফতার হন। হিজাব না পরায় তাঁকে পুলিশ ধরে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। পুলিশি নির্যাতনের জেরে মৃত্যু হয় মাহশা আমিনির। যেই ঘটনার পর রাতারাতি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গোটা ইরান জুড়ে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০০-এর বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন ইরান পুলিশের হাতে। বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ। শুক্রবার সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সংবিধান বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যা নমনীয় হতে পারে। আমরা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি।’