ডা. নাজিরুম মুবিন: দেশব্যাপী চলমান প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। রেকর্ড ছোঁয়া তাপমাত্রায় রাজধানীবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মাত্রাতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো জেলায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি যে কোনো ঝুঁকি এড়াতে নিচের বিষয় মেনে চলুন।
হাইড্রেটেড থাকুন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজাদাররা ইফতার ও সাহরির মাঝখানের সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। চা, কফি এড়িয়ে চলুন। চা, কফির ক্যাফেইন আপনাকে ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) করে ফেলতে পারে।
ঠাণ্ডা থাকুন
ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন। বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। একান্তই বের হওয়া লাগলে ভারি কাজ এড়িয়ে চলুন, ঘনঘন বিরতি নিন এবং বিশ্রামের জন্য ছায়া বা শীতল জায়গা খুঁজুন, ছাতা ব্যবহার করুন।
বিপদ চিহ্নগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকুন
তাপ ক্লান্তির (Heat Exhaustion) লক্ষণহলো প্রচুর ঘাম হওয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। আপনি যদি এই উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করেন, তবে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় যান, পানি পান করুন এবং বিশ্রাম নিন।
হিট স্ট্রোকের উপসর্গ হলো শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়া, অসংলগ্ন কথা বলা বা অসংলগ্ন আচরণ করা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। আপনার বা আপনার আশপাশের কারো মধ্যে এই উপসর্গগুলো থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মসজিদ কমিটিদের প্রতি অনুরোধ, মসজিদগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখুন। শ্রমজীবী ও পথচারীদেরকে ওজুখানার পানি ব্যবহার করতে দিন। মসজিদের ভেতরে বিশ্রাম নিতে দিন।
সবার প্রতি অনুরোধ, ভবিষ্যতে তাপদাহ থেকে বাঁচতে চাইলে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কালপ্রিট হলো গ্রিনহাউজ গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইড।