বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: আশরাফুল আলম সাঈদ। তবে, সবাই চিনেন হিরো আলম নামে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বগুড়া-২ আসনে। এই লক্ষ্যে দিন দুয়েকের মধ্যে তিনি একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন। নিজের নির্বাচনি প্রতীক নিয়ে গান লিখেছেন হিরো আলম। তবে, সেটি নিজে গাইবেন না। অন্য একজন শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াবেন।
গণমাধ্যমকে রবিবার তিনি জানান, ঢাকায় উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণেরর পর থেকে বেশকিছু রাজনৈতিক দল যোগাযোগ করেছে তাঁর সঙ্গে। তবে, হ্যাঁ না কিছুই বলেননি। কোন দলে যোগদান করছেন তা খোলাসা হবে কয়েকদিনের মধ্যে। সেই দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার কথা জানিয়েছেন বগুড়া-২ আসন থেকে।
হিরো আলম নানা কারণেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় থাকেন। রাজধানীর একটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় ছিলেন। ভোটের দিন এবং প্রচারের সময় আক্রমণের শিকার হয়েছেন হিরো আলম।
ভিডিও মডেল, অভিনেতা, গায়ক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি। তিনি একজন স্বাধীন শিল্পী হিসাবে কাজ করেন ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলিতে ভিডিও প্রকাশ করে থাকেন। বেসুর গলায় গাওয়া গানের জন্য সর্বাধিক আলোচিত, সমালোচিত হিরো আলম।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুটো আসনেরই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
উপনির্বাচনে তিনি উভয় আসনে পরাজিত হলেও বগুড়া-৪ আসনে বিজয়ী প্রার্থীর সাথে তার ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ৮৩৪। একই বছরের ১৭ জুলাই তিনি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
আশরাফুল আলমের ইউটিউবে আপলোড করা সঙ্গীত ভিডিও নিয়ে ২০১৬ সালের দিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা ট্রল এবং মিম তৈরি শুরু করলে দ্রুতই তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন।এসময় মুশফিকুর রহিমসহ আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি তারকা আশরাফুল আলমের সাথে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
এরপর বিবিসি হিন্দি, জি নিউজ, এনডিটিভি, ডেইলি ভাস্কর, মিড-ডেসহ ভারতের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।ফলে তিনি ভারতীয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝে আলোচিত হন।ইয়াহু ইন্ডিয়ার এক জরিপ অনুসারে সেসময় ভারতীয় অভিনেতা সালমান খানের চেয়ে আলমকে বেশিবার গুগলে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
২০১৯ সালে একুশে বইমেলায় তার আত্মজীবনী “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো” প্রকাশিত হয়, যেটি প্রকাশ করে তরফদার প্রকাশনী এবং বইটি সম্পাদনা করেন সৌরভ আলম সাবিদ।