Home সারাদেশ হিলিতে ৪০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

হিলিতে ৪০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

*রাস্তা সংস্কার হলে প্রতিদিন ৪শ ট্রাক পণ্য আমদানি-রফতানি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

হিলি: নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর মাঝেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যের চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরে বন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বছর শেষে আদায় হয়েছে ৩৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সে হিসাবে অতিরিক্ত আদায় হয়েছে ৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেয়া লক্ষ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের কথা ছিল। এর বিপরীতে মাস শেষে আদায় হয় ৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া আগস্টে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে ২০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার বিপরীতে ২০ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার, অক্টোবরে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকার বিপরীতে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ২২ হাজার টাকা, নভেম্বরে ৩১ কোটি ৯ লাখ টাকার বিপরীতে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার, ডিসেম্বরে ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার বিপরীতে ২২ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৭১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছিল ১৮৯ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি ছিল ৮১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চালের আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে গেল জানুয়ারি থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত ছিল। এ কারণে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। এছাড়া বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে বছরজুড়ে পাথর আমদানি হয়, যার কারণে বাড়তি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। তবে শূন্যরেখা থেকে শুরু করে বন্দরের গেট পর্যন্ত সড়কটি খারাপ হওয়ায় বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কম হচ্ছে। সড়কটি ভালো থাকলে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রফতানি হতো।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, বন্দরটি দিয়ে পণ্য আমদানি করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজভাবে পৌঁছানো যায়। এ কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এতে মহামারীর মাঝেও আমদানিকারকরা বেশি করে পণ্য আমদানি করেছেন।