বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
খুলনা: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে নগর গোয়েন্দা শাখার এসআই জাহাঙ্গীর আলম। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে তাকে খুলনা লোয়ার যশোর রোডের সুন্দরবন হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্ররণ করা হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গার বিষ্ণুপুর উপজেলার দামুড়হুদা গ্রামের মো: আতিয়ার রহমানের ছেলে।
ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে খুলনা থানা পুলিশ।
এজহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম মোংলা উপজেলার বাজিকর গ্রামের ওই নারী মঙ্গলবার বিকালে মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য খুলনা নগরীতে আসে। কিন্তু ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে তার ভাগ্নের পূর্ব পরিচিত মিশারুল ইসলাম মনির আবাসিক হোটেল সুন্দরবনে দুটি কক্ষ ভাড়া নেয়। একটি কক্ষে মা- মেয়ে ও অপর কক্ষে তার ভাগিনা আলিমুল ইসলাম বাবু অবস্থান নেয়।
রাত সোয়া ২ টার দিকে গোয়েন্দা শাখার এস আই জাহাঙ্গীর আলম হোটেল বয় গোলাম মোস্তফাকে ডেকে নিয়ে ভিকটিমের (৩১৩নং) কক্ষ ধাক্কা দিতে থাকে। সে নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসা করেন সাথে কে আছে। উত্তরে তিনি জানান আমার সাথে ১১ বছরের কন্যা রয়েছে। এরপর ওই নারীর সাথে জাহাঙ্গীর আলম অসদাচারন করতে থাকে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। পরে ভয়-ভীতি দিয়ে মেয়ের সামনে মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহাঙ্গীর আলম। ধর্ষণের পর ভিকটিম চিৎকার করলে হোটেল বয়, অন্যরাসহ হোটেল রুমে থাকা ভাগ্নে উঠে হোটেল মালিককে বিষয়টি জানায়। হোটেলের মেইন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ৯।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, মোংলা থেকে ওই নারী মেয়েকে ডাক্তার দেখানের জন্য খুলনা আসেন। তারা হাদিস পার্কের পাশে হোটেলে অবস্থান নিয়েছিল। রাত আড়াইটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম জোরপূর্বক মা-মেয়ের কক্ষে যান। অসুস্থ মেয়ের সামনে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে হোটেলের ম্যানেজার এগিয়ে যান এবং বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। এরপর খুলনা থানার পুলিশ ওই হোটেল থেকে তাকে (জাহাঙ্গীর) গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।