বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, শিল্প উন্নয়ন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। করোনাকালে অন্যান্য শিল্পের মতো এ শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এ শিল্পের ক্ষতি থেকে উত্তরণে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কর ও শুল্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন আবশ্যক।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) আগ্রাবাদে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে সিএমসিসিআই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে প্রাকবাজেট আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তি খাতে নিট সম্পত্তির ওপর প্রতি বছর ১০-৩০ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করদাতার জন্য অনেক বড় বোঝা এবং শাস্তি স্বরূপ। এ সারচার্জ প্রতি বছর একই সম্পত্তির ওপর দিতে হচ্ছে এবং উক্ত সম্পত্তিগুলো কর প্রদান পরবর্তী অর্জিত সম্পদ। তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বিলের ওপর উৎসে কর কর্তনের বর্তমান হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেন।
কাস্টমস পর্যাপ্ত স্ক্যানিং মেশিন ব্যবহার করে আমদানি পণ্যের দ্রুত খালাস ও নিয়মিত নজরদারি করে বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করলে ব্যবাসায়িক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে, যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে। ব্যক্তিগত করদাতার সারচার্জ আরোপের সম্পদসীমা বর্তমানে ৩ কোটি থেকে বাড়িয়ে কোটি টাকার বেশি সম্পদশালী করদাতার করের ওপর সারচার্জ রাখার প্রস্তাব দেন তিনি।
এ সময় এনবিআর সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া ও মো. মাসুদ সাদিক, কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, এমএম ফজলুল হক, গোলাম মো. মুনীর, মো. মাহবুবুজ্জামান, মো. হেলাল উদ্দিন সিকদার, একেএম হাসানুজ্জামান, মোহাম্মদ ফখরুল আলম, একেএম. মাহবুবুর রহমান, মো. আকবর হোসেন, সিএমসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুছ সালাম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক আবুল বশর চৌধুরী, আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, লিয়াকত আলী চৌধুরী, আমির আলীহোসেন, অজিত দাশ, পিএইচপি অটো মোবাইলস লিমিটেডের এমডি আক্তার পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।