এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ১৩ টি দেশ থেকে নিজেদের শাখা গুটিয়ে নিচ্ছে ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা দানকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সিটিগ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে সিটিগ্রুপ কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রাশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে সিটি ব্যাংকের আর কোনো শাখা থাকবে না।
এর পরিবর্তে সিটি ব্যাংকের সিঙ্গাপুর, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও লন্ডন শাখা থেকে এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এই দেশগুলোতে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করার কারণ হিসেবে সিটি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী জেন ফ্রেজার বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমানে এই কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চালানোর মতো সক্ষমতা নেই সিটি গ্রুপের।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের গৃহীত নতুন নীতি অনুযায়ী, আমরা আমাদের সম্পদ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে শুধু সিঙ্গাপুর, হংকং, আমিরাত ও লন্ডন— এই চারটি কেন্দ্র থেকে এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হবে।’
বিবৃতিতে জেন ফ্রেজার আরও বলেন, ‘এই ১৩টি বাজারে দারুণ ব্যবসা থাকলেও এগুলোতে প্রতিযোগিতা করার মতো সক্ষমতা বর্তমানে আমাদের নেই। আমরা বিশ্বাস করি— আমাদের মূলধন, বিনিয়োগকৃত ডলার ও অন্যান্য সুবিধাগুলো যদি এই চারটি কেন্দ্রে আমরা ব্যবহার করি, সেক্ষেত্রে আমাদের মুনাফা ও ব্যবসায়িক গতিশীলতাকে আমরা সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।’
বৃহস্পতিবার এই বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি চলতি বছরের গত তিন মাসের মূল্যায়ন প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে সিটি ব্যাংক। সেখানে দেখা গেছে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট উপার্জন ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরো)। তবে এই ১৩টি দেশ থেকে সিটিগ্রুপ তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম গুটিয়ে নিলেও এই অঞ্চলগুলোতে ব্যাংকটির অন্যান্য প্রতিপক্ষদের অবস্থা বেশ চাঙ্গা। সিটি ব্যাংকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে পরিচিত এইচএসবিসি ব্যাংক বলেছে, তারা শুধু চীনেই আগামী ৫ বছরে ৩ হাজার ব্যাংকার কর্মী নিয়োগ দেবে। গোল্ডম্যান স্যাশ ও জেপি মরগানও বলেছে, চীনে তারা ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বাড়াবে।
-বিবিসি