চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক সিটি প্রশাসক আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন ঈদ অর্থনীতি চাঙা রাখতে ১৫ রমজানের পর সপ্তাহে ৩ দিন মার্কেট ও শপিং মল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার ( ১৮ এপ্রিল ) এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। গতবছরও করোনা সংক্রমণের কারণে দোকানগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকাংশে কম লেনদেন হয়েছে। সাধারণত রোজার ঈদে যেরকম ব্যবসা বাণিজ্য হয় সেটা গতবছর হয়নি। তারপরও সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে ব্যবসায়িরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল। তাই ঈদ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ১৫ রমজানের পর সপ্তাহে অন্তত তিনদিন সকাল ও রাতে উভয় শিফটে মার্কেট এবং শপিংমলগুলো সরকারি স্বাস্থবিধি মেনে খুলে দেয়া প্রয়োজন। তবে একই এলাকায় পাশাপাশি দুটি মার্কেট কিংবা শপিংমল একসাথে খোলা থাকতে পারবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, শপিংমলগুলোকে এলাকাভিত্তিক এবং সকাল বিকাল শিফটিং করে খোলা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। ক্রেতারা দলবেঁধে মার্কেটে আসতে পারবে না। প্রতিটি পরিবার থেকে একজন মার্কেট কিংবা শপিংমলে আসবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং এ ব্যাপারে কোন অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে আগে বেঁচে থাকতে হবে। বেঁচে না থাকলে ঈদের কাপড় দিয়ে কাফন পরানো যাবে না। এভাবে লকডাউন করলে জীবন ও জীবিকা চলবে এবং সংক্রমণও রোধ করা যাবে।
সুজন বলেন, শহরে বা গ্রামে যেসব এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি সেসব এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে পূর্ণ লকডাউন ঘোষনা করতে হবে। লকডাউন ঘোষণার আগে ঐসব এলাকার জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার সুযোগ করে দিতে হবে যাতে কোন প্রকার মানবিক বিপর্যয় না হয়। এছাড়া লকডাউন এলাকার হতদরিদ্রদের সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করারও আহবান জানান তিনি। এভাবে লকডাউন ব্যবস্থা পরিচালিত করলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জীবন ও জীবিকা সমুন্নত রেখে করোনা সংক্রমণও কমিয়ে আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সুজন।