বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: জুলাই আগস্টের ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরেও কমেছে প্রবাসী আয়। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। কেবল তা নয় গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে সেপ্টেম্বরে।
হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, করোনার প্রভাবে কাজ হারিয়ে যে হারে দেশে এসেছেন, সে তুলনায় লোক কম যাওয়াসহ নানা কারণে প্রবাসী আয় কমেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা মোট ১৭৩ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই মাসে তা ছিল ২১৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ৪২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের এ রেমিট্যান্স গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩২ কোটি ডলার। সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ৭৬ লাখ ডলার। এককভাবে সর্বোচ্চ ৪৬ কোটি ডলার এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে। তা মোট প্রবাসী আয়ের ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ কোটি ডলার বা ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে, তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে।
গত অর্থবছর প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রচুর। এর কারণে হিসেবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন যে সরকারের দুই শতাংশ প্রণোদনা ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো বেড়ে যায়। এসময়ে করোনার প্রভাবে কাজ হারিয়ে দেশে ফেরাদের অনেকেই সব সঞ্চয় নিয়ে এসেছেন দেশে কিছু করার আশায়। তাই বেড়েছিল প্রবাসী আয়। আর এ বছরে কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যে হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, করোনার প্রভাবে কাজ হারিয়ে যে হারে দেশে এসেছেন, সে তুলনায় লোক কম যাওয়া ইত্যাদি।