Home আন্তর্জাতিক ২০২১ সালের মধ্যে করোনার ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন: হু

২০২১ সালের মধ্যে করোনার ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন: হু

বিজনেসটেুডে২৪ ডেস্ক

 করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বিশ্বজুড়ে । বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা সবাই বলছেন, এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল জোর কদমে চলছে। অনেক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল তো চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। সংস্থার প্রধান বললেন, চলতি বছরের শেষেই কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যেতে পারে।

 

মঙ্গলবার হু-এর ডিরেক্টর টেড্রস আধানম জানিয়েছেন, আমাদের ভ্যাকসিন দরকার, এবং আশা রয়েছে যে এই বছরের শেষেই আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যেতে পারি।” অতিমারী সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ বোর্ডের সঙ্গে দু’দিন ব্যাপী বৈঠক শেষে এই কথা জানান তিনি। অবশ্য এই সংক্রান্ত কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি সংস্থার প্রধান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালনায় এই মুহূর্তে ন’টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রায় ২০০ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে হু। গোটা বিশ্বে এই ডোজ ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই করোনায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা ভয়াবহ। এখনই ব্যবস্থা না নিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ হতে পারে। এর বিরুদ্ধে বিশ্বের সব দেশকে একযোগে লড়াই করতে হবে। কিন্তু এখনও অনেক দেশ এই সংক্রমণ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এর ফলে আগামী দিনে এর দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে তারা।

একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিষয়ক অধিকর্তা মাইকেল রায়ান। তিনি বলেন, “১০ লাখ মৃত্যুর সংখ্যা খুব খারাপ অবস্থার পরিচয় দেয়। কিন্তু আরও ১০ লাখের আগে আমাদের অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। আমরা কি সবাই একসঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি? একমাত্র তাহলেই এই মৃত্যুর সংখ্যা আমরা এড়াতে পারব। আর যদি আমরা একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিই তাহলে আরও ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কিংবা সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।”

মাইকেল আরও বলেন, “আমরা যদি এখনই কোনও ব্যবস্থা না নিই, তাহলে আগামী দিনের ছবিটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। কেউ সে কথা ভাবতেও পারছেন না। সংখ্যাটা কল্পনার বাইরে চলে যাবে। আমরা ৯ মাসে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে হারিয়েছি। আগামী ৯ মাসে হয়তো আমাদের হাতে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছবে। কিন্তু তার আগেই আমাদের সতর্ক হতে হবে। একসঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে বড় বিপদ আসতে চলেছে।”